মো: রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার
শেরপুরে আড়াই মাস বয়সের এক কন্যা শিশুকে চুরির অভিযোগে জরিনা বেগম নামে শিশু পাচারকারী দলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেরপুর সদর থানা পুলিশ টাঙ্গাইল জেলা সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুকে উদ্ধার ও শিশু পাচারকারী দলের নারী সদস্যকে গ্রেফতা করে
জরিনা শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শেরপুরের নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির কন্যাশিশু লাবিবাকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর পৌর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। এসময় ওই ক্লিনিকে শিশু চোর চক্রের সদস্য জরিনা শিশুর মাকে বোকা বানিয়ে তার মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়।
পরে ওই শিশুকে টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এবিষয়ে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে শেরপুর শহরের মাধবপুর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী জরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু লাবিবাকে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত জরিনার মেয়ে সাবিনা (২৮),শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া (৪৫) ও টাংগাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম (৩০) এখনো পলাতক রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি জরিনাকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।