নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের, ঢাকা আরিচা বিশ্ব রোডের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে জোকার চক ও বাস্টাইর চক হতে ,, রাতের অন্ধকারে সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কেটে প্রায় শত কোটি টাকা লুটপাট করছেন বলে জানা যায়। সর জমিনে গিয়ে জানা যায় জোকার উত্তর পাশে সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটছেন, মাটি ব্যবসায়ী আনোয়ার, আবুল বাশার এবং দক্ষিণ পাশে জোকার চক হতে তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কাটছেন অনি। তবে কে এই নবাগত মাটি ব্যবসায়ী আনোয়ার, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষকরা বলেন, রাত হলেই জোকার চক ও জোকার বাইশ্টার চক থেকে, ৩০ থেকে ৪০ টি অবৈধ দশ চাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। যার ফলে তিন ফসলী কৃষি জমি গভীর ডোবায় পরিণত হচ্ছে। আবার দশ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করায় , তিন ফসলি কৃষি জমির উপর দিয়ে মাটি পরিবহনের রাস্তা তৈরি করায়, তিন ফসলি কৃষি জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় ৩০ থেকে ৪০ টি অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহনের ফলে সরকারি রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে, হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়ছে। সাধারণ কৃষকরা বলেন আমাদের জমির উপর দিয়ে মাটি পরিবহনের জন্য জোর করে রাস্তা বানাচ্ছে আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনা। এমনকি সাধারণ কৃষকরা সাংবাদিকদের নিকট তাদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পায়। এ বিষয়ে আবুল বাশার কে ফোন করলে ফোনে পাওয়া যায়নি।অনি বলেন আমি জোর করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটছি না, মাটি পরিবহনের জন্য জোর করে কার ও জমির উপর দিয়ে মাটি পরিবহন করছি না। বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কৃষক কৃষাণীরা বলেন, জাতীয় দৈনিক সোনালী কন্ঠ পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় নিউজ করে, স্থানীয় প্রশাসন কে জানালে, সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ করা তো দূরের কথা, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান, মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের মামলা করেননি।বারবার নির্বাচিত বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন,আমার ইউনিয়নের কৃষকরা অনেক অসহায়, আমরা এমনটাও জেনিছি, আগের দিন ধরনতো উস্তা সহ সোনার ফসল,ভুক্তভোগী কৃষকরা পরের দিন উস্তাসহ সোনার ফসল তো দূরের কথা, তাদের তিন ফসলি কৃষি জমি ডোবা আর ডোবা রুপে দেখে হতাশ হয়েছেন। চেয়ারম্যান বলেন ইউএনও, এসিল্যান্ড সহ স্থানীয় প্রশাসনকে অনেকবার জানিয়েছি, কিন্তু কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার বিষয় ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় নিউজ করার পরেও, তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ হচ্ছে না, জানানোর জন্য বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মোঃ লুৎফর রহমান, ঘিওর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড) মোহছেন উদ্দিন এবং ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) কে একাধিকবার ফোন করলে, ফোন রিসিভ করেন নি।
এ জাতীয় আরো খবর..