নাদিমুল আল তানভীর(কুমিল্লা উত্তর)
প্রতিনিধি :
বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার জায়গা নয়, এটি পাঠকের মনে নতুন চিন্তার খোরাক যোগায়, সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য এক উৎসব হয়ে ওঠে এবং জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে অবদান রাখে।
জমকালো আয়োজনে শুরু হলো দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনদিন ব্যাপী স্টুডেন্ট ফেস্ট’ বই মেলা। ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই প্রথম দেবিদ্বারে ব্যাতিক্রম ধর্মী বই মেলা চমৎকার এবং নান্দনিকভাবে আয়োজন করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। বই মেলায় থাকছে সায়েন্স ফেস্ট এবং অ্যাক্টিভিটি জোন, গুণীজন সংবর্ধনা, বিয়ন্ড দ্যা ক্লাসরুম ব্যাটেল, উদ্যোক্তা মেলা, ক্যারিয়ার গাইডলাইন। দেবিদ্বার স্টুডেন্ট ফেস্ট মোট ৩৯ টি স্টল রয়েছে। স্টুডেন্ট ফেস্ট উপলক্ষে বইমেলার পাশাপাশি মেডিকেলে পড়ুয়া দেবিদ্বারের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা স্টল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও এ মেলায় অংশ গ্রহণ করছে। এই মেলা থেকে দেবিদ্বারের বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন সম্পর্কে নানাবিধ দিকনির্দেশনা নিতে পারবেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্ন দেখতে হবে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। যে স্বপ্নে তোমাকে ঘুমাতে দিবে না। অভিভাবকদের বলছি, আপনরা আপনাদের সন্তানদের এ মেলায় নিয়ে আসুন সবগুলো স্টল ঘুরিয়ে দেখান। এবং মেলা থেকে বের হওয়ার পর জিজ্ঞাসা করুন আপনারা সন্তান এই ফেস্ট থেকে কি শিখতে পেরেছে। আমি বলব আপনারা স্বপ্নটাকে বড় করে দেখুন, ওই স্বপ্নে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত আমরা তোমাদের সহযোগিতা করব।’
আরো বক্তব্য দেন, ফ্রিল্যান্স ইনভেস্টগেটিভ সাংবাদিক সাইদ আবদুল্লাহ, এসিএস ফাউন্ডার নুমেরী সাত্তার অপার। ফেস্টের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবুল হাসনাত খাঁন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, দেবিদ্বার (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহীন, দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামদুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াস।
স্টুডেন্ট ফেস্ট’-এর প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন, সাঈদ আব্দুল্লাহ ও নুমেরী সাত্তার অপার এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আসিফ আকবর। দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত থাকবেন আয়মান সাদিক ও সালমান মুক্তাদির এবং সর্বশেষ দিনে উপস্থিত থাকবেন ড. তাসনিম জারা, ড. নাদিম চৌধুরী ও সাবিত রায়হান।
বইমেলার কেন্দ্রবিন্দু হলো বই। যুগ যুগ ধরে যা জ্ঞান বিতরণের মহাদায়িত্ব পালন করে আসছে। মানবসভ্যতার ইতিহাসের সঙ্গে বদল হয়ে বইয়ের ধরন। কিন্তু বদলায়নি বইয়ের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। নতুন-পুরোনো লেখক-কবি-প্রকাশক, মেলার দর্শক সবাই উপস্থিত হয়। বইমেলায় আসা থেকে শুরু করে বই বিক্রি করাই শেষ কথা নয় অথবা মেলার সার্থকতা নয়। মিলনমেলায় সবাই একত্র হওয়াটাই উদ্দেশ্য।
এ জাতীয় আরো খবর..