এম মোহাম্মদ ওমর। শরনখোলা প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দুবলা ও আলোর কোলের মধ্যবর্তী আন্দারমানিক এলাকায় গত তিন সপ্তাহ পূর্বে বনদস্যদের হাতে জিম্মি ১৫ জেলার মধ্যে ১০ জেলেকে মুক্তিপনে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে এখনও ৫ জেলে দস্যুদের হাতে জিম্মী রয়েছে। মুক্ত হওয়া জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে জনপ্রতি প্রায় ৩ লাখ টাকা মুক্তি পণ দিয়ে গত দুই তিন দিন আগে তাদেরকে মুক্ত করা হয়েছে। গোপনীয়তার স্বার্থে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেননি তারা। জেলেদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে দসুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন পদক্ষেপ না থাকায় জিম্মি মুক্তির অবসান ঘটেনি। তাই মুক্তিপন দিয়ে তাদেরকে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দিতে না পারায় এখনও জিম্মি রয়েছে শাজাহান মিয়া, রিপন, নাথুন বিশ্বাস।এছাড়া অন্য একজনের নাম জানা যায়নি। তবে ঝুঁকি থাকায় পরিবারে অনুরোধে মুক্তি পাওয়া জেলেদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দিয়ে মুক্তি না মেলায় শাহজাহান স্ত্রীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন দুর্গম এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে যেখানে কোষ্টগার্ডের দ্রুতযান না থাকার কারণে দস্যদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। তাছাড়া দস্যুদের হাতে অপহরণের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তেমন তৎপরতা না থাকায় দুবলসহ বিভিন্ন জেলে পল্লীতে হাজার হাজার জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এদিকে গত তিন সপ্তাহ আগে বন দস্যুদের হাতে জিম্মি ১৫ জেলের বিষয়টি ১৮ ফেব্রুয়ারি শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, অপহরণের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃক অবহিত করবেন জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..