এএসএম হারুন:
ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহামুদুল হাসানের স্থায়ী অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলিয়া মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ সদ্য পতন হওয়া স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের একজন পদলেহনকারী। বিগত সাড়ে পনেরো বছর তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগদান স্থগিত রেখেছেন। এছাড়াও তিনি অতিথি শিক্ষকদের বেশ কয়েকমাসের বেতন ভাতা প্রদান বন্ধ করে রেখেছেন। তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তিনি অনেক শিক্ষককেও পিটিয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা তার রুটিনওয়ার্ক। বিভিন্ন ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি রশিদবিহীন অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেছেন। সর্বমহলে আলোচনা রয়েছে, বড় অংকের ঘুষ দিয়ে তিনি অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। মোটকথা, পুরো আলিয়া মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা মার্কেটের দোকান মালিকদের জিম্মি করে কোটি টাকার পাহাড় বানিয়েছেন। সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষন করে এই দূর্নীতিবাজ লেবাসধারী অধ্যক্ষকে স্থায়ী অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আশা করি আপনারা আপনাদের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি চালিয়ে যাবেন। আপনাদের অভিযোগটি আমরা খতিয়ে দেখবো। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিল ফাজিল ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাইমিনান উদ্দিন সাইমুম, ফাযিল ১ম বর্ষের ছাত্র মনিরুল ইসলাম, অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র বোরহান সিদ্দিক, অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র আল হাসানসহ আরো অনেকে।
এ জাতীয় আরো খবর..