এম,শামীম চৌধুরীঃ
ফরিদপুরের সাথতা থানা উত্তর চন্ডী চন্ডীবর্ধি গ্রামের মান্দার মোল্লর মৃত্যু হয়েছে মিরপুরে ৪ আগস্ট ২০২৩ হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও মিথ্যা হত্যা মামলার আসামি হলেন সাংবাদিক বিজয় দত্ত সহ আরো ২৫ জন এদের মধ্যে ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও বাকি ১০/১৫ জন রয়েছে অজ্ঞাত ঢাকা জুডিশিয়াল আদালতে মান্দার মোল্লার স্ত্রী হেনা বেগম বাদী হয় মামলাটি করেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মান্দার মোল্লার স্ত্রী হেনা বেগম জেলা ফরিদপুর
বল্লভদি ইউনিয়ন উত্তর চন্ডী ভরদী গ্রাম সালথা থানার হোল্ডিং ১৫৬, ১ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা, মামলাতে
বাধিনীর স্বামী মান্দার মোল্লা স্থানীয় ফরিদপুর জেলার সালথা থানার যুবদলের সফল যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক, ভিকটিম মান্দার মোল্লা আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন স্থানীয়
আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের প্রতিহিংসা ও হত্যার ভয়ে এবং তোপের মুখে আত্মরক্ষার স্বার্থে ঢাকায় পাড়ি জমান, তিনি ঢাকাই ছদ্মবেশে জীবন রক্ষার্থে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল বলে উল্লেখ্য করেন, আভিযোগকারী হেনা বেগম আদালতে হাজির হয়ে সি আর মামলা করেন।
আসামী মো:সরোয়ার জামান রাসেল গং এর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/১০৯/১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩৪/৫০৬ ধারায় নালিশী দরখাস্ত দাখিল করেছেন
তিনি আর উল্লেখ্য করেন ১৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে মিরপুর ১০ নং গোল চত্তরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শেষে রাত ১১.৩০ মিনিটে বাসায় ফেরার পথে ঘটনাস্থলে রাস্তার উপরে উৎপেতে থাকা আসামীগণ ভিকটিম কে স্থানীয় মিরপুর ২ এর সুইমিং পুল ২নং স্টেডিয়াম এলাকায় জোর করে ধরে নিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে আগে থেকে বসে থাকা আসামিগণ সহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজনের কাছে নিয়ে আসে,ভিকটিম মান্দার মোল্লাকে সামনে পেয়ে আসামিগণের সহায়তায় ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলায়পাড়া দিয়ে মুখে গামছা বেঁধে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মান্দার মোল্লার মৃত্যু নিশ্চিত করার পর আসামিগণ লাশ ফেলে রেখে চলে যায়, মামলা করতে যা দিয়েছেন ভিকটিমের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ছবি, এ মামলার সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছেন চারজনকে ১/বাদী নিজ
২/মো: আসাদুজ্জামান (৩০) পিতা মৃত
আবুল কাশেম মাজার রোড, দারুস সালাম ৩/শাহ আলম (২৮)পিতা ছালাম মোল্লা মাজার রোড, দারুস সালাম ৪/মো:জাকির শিকদার (৩২) পিতা মৃত আ:রহমান শিকদার,মোল্লা ভিলা, প্রিয়াংকা আবাসিক,থানা দারুস সালাম,ঢাকা
অনুসন্ধানে জানা যায় মান্দার মাল্লার মৃত্যু হয়েছে মিরপুর ১১ নম্বরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ৪/৮/২০২৩ ইং তারিখে রাত ১০:৩০ মিনিটে যা ফেসবুকে মোঃ অলিউল্লাহ নামের এক ব্যাক্তি ফেসবুকে পোস্ট করেন,
ফরিদপুর বল্লভদি ইউনিয়নের চন্ডীবর্ধি গ্রামের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান (শাহীন) জানান
এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে চার বছর ধরে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি এখানে সবাই আমার পরিচিত
মান্দার মোল্লার বাবা মৃত আব্দুস ছাক্তার মোল্লা উনাকেও আমি খুব ভালো করে চিনতে পেরেছি, তারিখটা আমার স্মরণ নেই আনুমানিক এক বছর আগে হঠাৎ ঢাকা থেকে একটি কল এসেছে আমার কাছে সেই ব্যাক্তি বলেন নরু (মান্দার মোল্লা অনেক নাম ব্যাবহার করতো)নামের কোন লোককে আপনি চিনেন কিনা সেই লোকটি মারা গেছে তার মোবাইলে আপনার নাম্বার চেয়ারম্যান দিয়ে সেভ করা, আমি বলেছি আপনারা ওই লোকটির ছবিটা তুলে বা ভিডিও কল দিলে লোকটিকে আমি দেখতে পারব দেখলে হয়তো আমি চিনতে পারব পরবর্তীতে তারা ভিডিও কল না দিয়ে কিছু সময় পার হবার পরে চার হাটের একটি লোক ওইখানে এসে সেই মৃত লোকটিকে সনাক্ত করে এবং তিনি বলেন ওর নাম মান্দার মোল্লা ওর বাড়ি উত্তর চন্ডীবর্ধি আমি তাকে চিনি তখন ওই
চার হাটের লোকটি আমাকে ফোন করে বলেন আপনাদের চন্ডীবর্ধির মান্দার মারা গেছেন আপনি একটু কষ্ট করে মান্দারের ফ্যামিলিকে এই সংবাদটা দেন পরে আমি মান্দারের বড় ভাই নুরু মোল্লাকে সংবাদটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি তাকে ফোন করেছি তাকে পাচ্ছিলাম না পরে তাদের পাশেই মামুন নামের একটি ছেলে তাকে ফোন করি সে মান্দারের বাসায় গিয়ে বলেন চেয়ারম্যান ফোন দিচ্ছে আপনারা কথা বলেন। সাথে সাথে আমাকে নুরু মোল্লা (মান্দারে বড় ভাই) কল দিলে আমি বিষয়টি বলি আপনার ভাই মান্দার ঢাকায় মারা গেছে এমন একটি সংবাদ পেলাম এবং এই (যে নাম্বার থেকে প্রথমে কল আসে) মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে মান্দারকে আপনারা পাবেন পরে তারা ওই নাম্বারে যোগাযোগ করলে মান্দারকে বাড়ি আনার ব্যবস্থা করেন দাফন কাফন গ্রামের বাড়িতেই হয় আমি অবশ্য দাফনে থাকতে পারিনি আমি অন্য প্রোগ্রামে ছিলাম কিন্তু সে মারা গেছে এক বছরের কম হবেনা সেটি আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
প্রতিবেদকের প্রশ্ন
হেনা বেগম মৃত মান্দার মোল্লার স্ত্রী উনি একটি মামলা দায়ের করেন কোর্টে ১৮/৭/২০২৪ তারিখে মান্দার মোল্লাকে পিটিয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখবেন চেয়ারম্যান বলেন মান্দার তো ২/৪ মাস আগে মারা যায়নি আমি আগেও বলেছি সে তো মারা গেছে এক বছর বেশী হবে, আমি যতটুক জানি সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এই ইনফরমেশন এর ভিত্তিতেই গ্রামের বাড়িতে মান্দারের মৃতদেহটি আনা হয় এবং আরেকটি বিষয় আমি জানি, ঢাকাতে যে রিক্সার গ্যারেজে মান্দার কাজ করতো মনে হয় সেই গ্যারেজ ওয়ালা আপডাউন গাড়ি ভাড়ার টাকাও দিয়ে দিয়েছিল সাথে ঢাকা থেকে তিন জন লোক এসেছিলো, এই বিষয়টি লুকানোর কিছু নেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং তার পাড়া-প্রতিবেশী বিষয়টি জানেন। উত্তর চন্ডীবর্ধি গ্রামের মেম্বার অলিউর রহমান বলেন মান্দারের জানাজায় আমি ছিলাম সেটি প্রায় এক বছরের অধিক হবে এবং পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন স্থানীয়রা সবাই বলছে একই কথা।
মান্দার মোল্লার আপন বড় ভাই ফারুক মোল্লা বলেন সর্বপ্রথম আমার ছোট ভাইয়ের মৃতদেহটি এই বাড়ির উঠানে নামানো হয় একপাশে তাকে গোসল করানো হয় এবং সব কিছু সম্পূর্ণ করেছে মামাত ভাই মাওলানা লোকমান, ছোট ভাইয়ের কবর দেখিয়ে তিনি বলেন আমার ভাই তো মারা গেছে স্ট্রোক করে তাও এক বছরের বেশী হয়েছে (প্রতিবেদক ভিডিও ধারণ করে রেখেছে)।
মামলার বাদী হেনা বেগম বলেন আমি যে মামলা করেছিলাম আমি সমাধানে আসতে চাই, আমি বুঝতে পারি নাই আমি মহিলা মানুষ এই কারণে মামলাটি দিয়েছিলাম, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি আমি আপোষ করে ফেলব, আসামি পক্ষ যদি আমার সাথে কথা বলতে চাই আমি কথা বলব এবং আপোষ করে ফেলব,
ঢাকা মিরপুরের খোকনের রিক্সাগ্যারেজের দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কর্মরত আছেন ম্যানেজার আমজাদ তিনিও বলে মান্দার মারা গেছে হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাও দের বছরের বেশী হবে তার আত্মীয়-স্বজন কাউকে আমি চিনিনা এখানে অনেক টাকা পয়সাও মান্দার বাজিয়ে রেখেছে পৌর শিক্ষা মিরপুর বড়বাজার শাখা সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে মান্দারের জিম্মাদার হিসেবে আমাকেই টানতে হচ্ছে গরিব মানুষ কি করব বুঝে উঠতে পারছি না, সমিতির লোকগুলো জানে তার মৃত্যুর খবরটি,
এই মামলার তিনজনকে সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছেন মো:আসাদুজ্জামান, মো:জাকির শিকদার এবং শাহ আলম। এইদিকে মো:আসাদুজ্জামান বলেন
আমাকে ১ নং সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে যা আমি অবগত নই,
মান্দার মোল্লা সাথে আমার পরিচয় সেলিম মিয়ার মাধ্যমে,মান্দার মোল্লা এবং আমি সেলিম মিয়ার আন্ডারে চাকরি করতাম সেই সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয়
সেলিম মিয়া এবং মান্দার মোল্লা তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর, সালথা থানা,চন্ডীবরদ্ধি গ্রামের লোক হওয়ায় মান্দারকে সেলিম মিয়া ঢাকা মিরপুরের আনেন তাকে দিয়ে তার পার্সোনাল কিছু কাজ করা তো সেলিম মিয়া। মান্দার মোল্লার মৃত্যুর বিষয়টা আমি শুনেছি সে মারা গেছে ৪/৮/২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত ১০ঃ৩০ মিনিটে মিরপুর ১১ নাম্বারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিষয়টি আমাকে রাত ১২ টায় ফোন করে জানিয়েছিল জাকির সিকদার সেও সেলিমের আন্ডারে কাজ করতো, আমি এবং জাকির সেলিম মিয়ার ১৩ টি লেগুনা ছিলো সেগুলো দেখাশোনা করতাম, এই মামলার সাক্ষীর বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা আমার বাসায় থানা থেকে একটি নোটিশ আশাতে বিষয়টি আমিও অবগত হই এবং জানতে পারি আমাকে মামলার ১ নং সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে এই মামলার সাক্ষী হিসেবে আমি কোন ধরনের স্টেটমেন্ট কাউকেই দেইনি তাহলে আমার নাম এখানে আসলো কিভাবে এবং সাক্ষীর বিষয়ে প্রশাসন থেকে আমাকে কল করা হয় আমি বলেছি এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা আমার প্রশ্ন হচ্ছে সাক্ষী হলে ভোটার আইডি কার্ড লাগে আমার এবং জাকিরের ভোটার আইডি কার্ড একমাত্র সেলিম মিয়ার কাছে ছিলো চাকরির সুবাদে সেগুলো দেওয়া হয়েছিল মিরপুরে চাঁদাবাজি উনি করেন আমরা তো চাকরি করেছি সেটি কি অপরাধ, অন্যদিকে সেলিম মিয়া বিভিন্ন লোক মারফত আমাকে কল দিয়ে মামলার সাক্ষী দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছে, ১৯/১/২০২৫ তারিখ রোজ শনিবার সেলিম মিয়া একটি অ্যাপস এর মাধ্যমে ফোন করে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
আরো জানা যায় এই মামলার মাস্টারমাইন্ড মিরপুরে চাঁদাবাজ সেলিম মিয়া তার জন্ম ফরিদপুর চন্ডীবরদ্ধি গ্রামে হলেও তিনি গোপালগঞ্জ মুকসুদপুরে জন্ম বলে দাবি করতেন এবং ২০১৯ সালে ভোটার আইডি কার্ড মাইগ্রেট করে নিয়ে গেছেন মুকসুদপুরে,
তিনি বিগত সরকারের আমলে
চাঁদাবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, ছিলেন দারুস সালাম থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি (সাবেক) যার নামে চাঁদাবাজির মামলাও আছে দারুস সালাম থানায়,
তার নামে ১১/১২/২০২৩ ইং তারিখে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সেলিমের চাঁদাবাজি নিয়ে নিউজ হয়। এই চাঁদাবাজির অনুসন্ধান করতে গিয়ে সাংবাদিক বিজয় দত্ত চাঁদাবাজির বিষয়ে বেশ কিছু নিউজ করেন এতে সেলিম মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয় দত্ত কে এই মামলায় জড়িয়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। বিগত দিনে যারা এই চাঁদাবাজি নিয়ে মুখ খুলেছেন তাদের নামেই দিয়েছে মিথ্যা মামলা এবং প্রশাসন দিয়ে করেছেন হয়রানি যা এখনো চলমান,
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায় মান্দার মোল্লা বাড়ি থেকে সেলিমের বাড়ি সর্বোচ্চ হাফ(কাছাকাছি) কিলো দূরে মান্দার ছিল ওয়ারেন ভুক্ত আসামি তার নামে মার্ডার মামলা সহ কয়েক ডজন মামলাও ছিলো তাকে শেল্টার দিয়েছিল সেলিম মিয়া মামলাতে মান্দার মোল্লাকে বানিয়েছেন
যুবদলের সফল যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক, যদিও তিনি যুবদলের কেউ ছিলেন না, মামলার আসামিদেরও বানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেতা, ব্যবসার কথা বলে মান্দার কে দিয়ে সমিতি থেকে টাকা তুলে সেই টাকা নিজের পকেটে ভরেন এবং মিরপুরে চাঁদা কালেকশনের কাজও করাতেন সেলিম টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যা হওয়ার পর মান্দারকে বের করে দেন এতে নিরুপায় হয়ে জীবিকার তাগিতে তিনি ভাড়ায় রিক্সা চালাতেন খোকনের গ্যারেজ থেকে।
জীবিত থাকা অবস্থায় মান্দার মোল্লাকে যেমন বিভিন্ন অপকর্মের কাজে লাগিয়েছেন এখন মৃত মান্দার মোল্লাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠেছেন এই সেলিম মিয়া। দারুস সালাম থানার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হলেও সেলিম মিয়া এবং তার সহযোগীরা রাজধানী ঢাকা শহরেই অবাধ বিচরণ করে বেড়াচ্ছে
এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিরপুরের চাঁদাবাজির আধিপত্য ধরে রাখতে তাকে সাহায্য করে যাচ্ছে খুঁত প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা যারা বিগত দিনে সেলিমের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিতেন ৫ ই আগস্ট এর পরে বদলি হলেও আবার ফিরে আসেন একই জায়গায়,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হেনা বেগমকে বাড়ি করে দিয়েছে সেলিম মিয়া, যে জাইগাতে বাড়িটি আছে সেটি সেলিম মিয়ার কিনে দেওয়া, প্রতিমাসে দেন টাকা, এখন বুঝে নেন তাদের মধ্যে কি ধরনের সম্পর্ক থাকতে পারে, আরো জানা যায়
সেলিমের ভাগিনা সাইমকে দিয়ে কাকে কত টাকা দিতে হবে কাকে কি করতে হবে
সমস্ত কাজগুলো সেলিম সাইমকে দিয়ে করান বর্তমানে সেলিমকে দেখলে কেউ চিনে উঠতে পারবে না একেবারে বেশভূষ চেঞ্জ করে ফেলেছে, সেলিম মিয়ার বাপ চাচারা ছিলো পাঁচ ভাই তারা ছিলো চোর ফ্যামিলি এখানকার স্থানীয়রা সবাই জানে সেলিমের বাবার নাম মোঃ শামসুদ্দিন তার দুই ছেলে প্রথমটি সেলিম দ্বিতীয়টি সোহেল তাদের বাবা আগে বাজারে দুধ বিক্রি করতো কোনরকম সংসার চলত এখনতো এলাহী কারবার তিন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে দোতলা বাড়ি করেছে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে, গেল ১৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে গ্রামের বাড়িতে ছেলের আকিকা অনুষ্ঠান করেছে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা খরচ করে,
আমরা তো জানি সে ঢাকায় ব্যবসা করে কিসের ব্যবসা সেটা তো আমরা জানিনা জায়গা সম্পত্তি অনেক কিনেছে, ছোট ভাই সোহেলের নামে কিনেছে দোকান এবং মুকসুদপুরে নিয়েছেন দুই ক্লিনিকের শেয়ার প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে,
ঢাকার মিরপুরে কিনেছে ফ্লাট ডেকোরেশনে করেছে অনেক টাকা খরচ করে, সুকৌশলে শ্বশুর বাড়ি থেকেও সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে, এই ৭/৮ বছরে সে অনেক কিছু করেছে আমাদের চোখের সামনে।
এদিকে সাংবাদিককের নামে মিথ্যা ও পরিকল্পিত মামলায় আসামি করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা। বাংলাদেশ নারী সংবাদ সমিতির সভাপতি
সাংবাদিক নাসিমা আক্তার সোমা বলেন,
এই মামলায় নেই কোন ডেট সার্টিফিকেট এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট শুধু ভোটার আইডি কার্ড এবং ছবি দিয়ে মামলা হয় কিভাবে? তিনি আরো জানান, অহেতুক সাংবাদিক বিজয় দত্ত কে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে এটি পূর্বপরিকল্পিত সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সাথে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানান তিনি।
আইনজ্ঞরা বলছেন, মিথ্যা মামলা দায়ের করলে আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। মিথ্যা অভিযোগকারী কিংবা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের যদি মনে হয়, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন, তুচ্ছ, বিরক্তিকর বা হয়রানিমূলক এবং আসামির প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে মামলাটি করা হয়েছে, তাহলে এ ধরনের মামলা মিথ্যা হিসেবে গণ্য হবে। মামলা মিথ্যা বা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মামলা দায়েরকারীকে দণ্ড দিতে পারেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বপ্রণোদিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিতে পারেন। আমলযোগ্য নয়—এমন মামলায় কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা প্রতিবেদন দিলে তার বিরুদ্ধেও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করতে পারেন। পুলিশ রেগুলেশন্স বেঙ্গল, ১৯৪৩-এর ২৭৯ ধারা অনুসারে তদন্তকালে কোনো মামলা বিদ্বেষপ্রসূতভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের কাছে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮২ বা ২১১ ধারা অনুসারে প্রসেস ইস্যুর জন্য আবেদন করবেন বলে বিধান রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..