নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দইর ইউনিয়নে চলছে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গভীর ডোবা বানানোর প্রতিযোগিতা ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিংগাইর উপজেলার,চান্দইর ইউনিয়নের মাঝবিলের চকে রিফাইতপুর মৌজায় সরকারি আইন অমান্য করে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, রাত হলেই শুরু হয়ে যায়, তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কাটার প্রতিযোগিতা । নিষিদ্ধ এক্সাভেটর ( ভেকু) দিয়ে তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কেটে গভীর খাদ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, মাটি ব্যবসায়ী, মালেক সহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন ।তিন ফসলী কৃষিজমির মাটি কাটার ফলে,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২০৪১ সালের ভিশন এবং মিশন বাস্তবায়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাটি ব্যবসায়ীরা।এছাড়া চান্দইর ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাঘাট দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টি দশ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পাচারের ফলে, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেংগে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে।তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি যেখানে কাটছেন, তার পাশেই ইরিগেশনের প্রজেক্ট চলছে, ইরিগেশনের প্রজেক্ট মালিক, ইরিগেশনের কৃষক কৃষাণীরা বলেন, তিন ফসলী কৃষিজমির মাটি কাটার ফলে, রোপনকৃত ইরিগেশনের জমিতে সারযুক্ত পানি চলে যাচ্ছে গভীর ডোবায়, যার ফলে ইরিগেশন এর মালিক ও কৃষক কৃষাণীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে ও প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না। সাংবাদিকরা নিউজ করে নিরাপত্তাহীনতায়,ও বিভিন্ন অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন।শুধু তাই নয় তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কাটার নিউজ করার ফলে,মাটি ব্যবসায়ীরা যেকোনো সময় , সুযোগ পেলেই তিন ফসলী কৃষিজমির মাটি কাটার নিউজ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের হত্যা করে, লাস গুম করে ফেলবে বলে জানা যায় ।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার মালেক কে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।মাটি ব্যবসায়ীরা বলেন,আমার তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি আমি কাটছি। চান্দইর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী বলেন, রাতে মাটি কাটলে আমাদের কি করার থাকে। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।সিংগাইর ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কাটার বিষয়ে জানানোর জন্য ফোন করলে, ফোন রিসিভ করেন নি।
এ জাতীয় আরো খবর..