এমরান, আত্রাই(নওগাঁ)সংবাদদাতা:
প্রকৃতির পরিবর্তনে শরৎকে বিদায় দিয়ে হেমন্ত বরণে করে অগ্রহায়ণী তেই ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতা বেড়েছে।রাতের শেষে ঘন কুয়াশার মধ্যেদিয়ে জেঁকে বসেছে শীত এখনো বেশ কয়েক দিন বাকি পৌষের।এরইমধ্যে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাইয়ের জনজীবন। ঘন কুয়াশায় হাড় কাঁপানো শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে এ উপজেলার মানুষ। গ্রাম-বাংলার প্রবাদ আছে ‘মাঘের শীত বাঘের গায়ে’ মাঘ মাসে শীতের তীব্রতা এত বেশি থাকে যে, বাঘও কাবু হয়ে যায়। তাই মাঘ মাসের আগমনীতে কেমন শীতের প্রভাব পড়বে এমটিই ভাবছে শীতার্ত অসহায় গরীব মানুষ। বর্তমানে বিশেষ করে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের অবস্থা চরম শোচনীয়।
শিশু ও বৃদ্ধারা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তীব্র শীতে সর্দি, কাশি ও হাঁপানি জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সূর্যের আলো মিলছে না। তবে একটু সূর্য বের হলোও তেজ নেই।
আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার শীতার্ত অসহায় গরীব মানুষ হাড় কাঁপানো কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে ঘর থেকে বের হতে সমস্যা হচ্ছে। কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিশু কিশোর তীব্র শীতে স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে।
এই শীতে স্বাভাবিকের তুলনায় লোকজনের চলাচলও অনেক কম । তারপরও জীবন চলার তাগিদে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে জীবন সংগ্রামে কিছু শ্রমিক ঘর থেকে বেরিয়েছেন।
আত্রাই উপজেলার সিংসাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আনোয়ার ও দমদমা গ্রামের দিন মজুর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। আমরা ভীষন কষ্টে আছি। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করেই জমিতে কাজ করছি। অনেক সময় শীতের কারনে আবার কাজেও যেতে পারছি না।
উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মো. মুঞ্জুরুল আলম বলেন, উপজেলার অনেক শীতার্ত মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের বিত্তবান লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন,এখনো শীত পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে কোন শীতবস্ত্র পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় আমরা বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা ও সামাজিক সংগঠনের কর্ণধারদের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ জাতীয় আরো খবর..