মজিদ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলা জুড়ে আমের বাগানে অধিক পরিমাণে মুকুলের সমারোহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাগান মালিক ও কৃষকরা আশানুরূপ ফলনের প্রত্যাশা করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩২৩৩ হেক্টর জমিতে মোট ৪২০১টি আমের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগানে আমের গাছে ভালো পরিমাণ মুকুল এসেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আমের জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। এখানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সূর্যাপুরি আমগাছটি অবস্থিত। তবে পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলাগুলোও আম চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব এলাকার বাগানিরা গাছে ভালো মুকুল আসায় অধিক ফলনের আশা করছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের আমের বাজার হিসেবে জাদু রানী, নেকমরদ, লাহিড়ী, রোড ও প্রেস ক্লাব মাঠের খ্যাতি রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বাজারে আম বিক্রি হয়ে থাকে। আমের দাম জাত ও মানভেদে কেজি প্রতি ১০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত হয়।
জেলার অন্যতম বড় আমবাগান মালিক শরীফ গত বছর তার বাগানের মুকুল ঢাকার একটি পার্টির কাছে ২২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। তিনি জানান, এবার মুকুলের পরিমাণ দেখে অধিক ফলনের প্রত্যাশা করছেন। এছাড়া বাগান মালিক আলম, এলাহী ও জুয়েল জানান, অধিক ফলনের জন্য তারা গাছের নিয়মিত পরিচর্যা করছেন এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ নিচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আম গাছের যত্ন ও পরিচর্যায় বাগান মালিকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পোকামাকড় ও ছত্রাক দমনে মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। বিশেষত ম্যাংগো হপার দমন ও রোগ শনাক্তকরণে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগ এবং বাগান মালিকদের প্রচেষ্টায় এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কৃষকদের এই আশা বাস্তবে রূপ নেবে কিনা, তা নির্ভর করছে আবহাওয়ার অনুকূলতার উপর।
এ জাতীয় আরো খবর..