খুলনার কয়রা উপজেলা আওয়ালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৭৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ৫ ফেব্রয়ারী (বুধবার) উপজেলার ৫ নং কয়রা গ্রামের মৃত আঃ বারিক শেখের ছেলে ফারুক শেখ বাদি হয়ে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন কয়রা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম শফিকুল ইসলাম,কয়রা উপজেলা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রি,সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান সানা, খগেন্দ্র নাথ মন্ডল, আব্দুস সাত্তার পাড়, একেএম ফজলুল হক,কফিল উদ্দিন, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম, ছাত্রলীগনেতা ইখতিয়ার উদ্দীন, রোকনুজ্জামান কাজল, যুবলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ (মাসুম)সহ অজ্ঞাত ৬০-৭০ জন। মামলার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে , আসামীদের কাজই ছিল বিরোধী দলের নেতাকমর্ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও সম্পত্তি দখল করা। তাদের দাবি না মানলে পঙ্গুকরাসহ জীবনে শেষ করে দেওয়া।বাদী শৈশব থেকেই তার পিতার সাথে নদীতে মাছ ধরে কয়রা বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার তারিখ ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রয়ারী বিকেলে কয়রা দেউলিয়া বাজারে মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছালে তিনি দেখতে পান জামায়াতের ব্যানারে একটি শান্তিপুর্ণ মিছিল কয়রা মহিলা কলেজের দিক থেকে এসে জালালের মোড়ে পৌঁছালে শান্তিপূর্ণ মিছিলে আ,লীগ,যুবলীগ ,ছাত্রলীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতাদের নির্দেশে আসামীগন পিস্তল,আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র,লাটি-সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং মুহমুর্হু গুলি ছুড়তে থাকে। আসামীদের অতর্কিত হামলা ও এলোপাতারি গুলি থেকে জীবন বাচানোর জন্য শান্তিপূর্ণ মিছিলরত জনতা দিকবিদিক ছুটে পালাতে থাকে। বাদীও প্রান ভয়ে একটি দোকানের আড়ালে দাঁড়ালে অন্যান্য আসামীগনের প্রত্যাক্ষ ইন্ধন ও উস্কানিতে ১-২০ নং আসামী বাদীকে দেখতে পায় এবং জামাত-শিবির আখ্যা দিয়ে ধর-ধর বলে এবং বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুক লক্ষ গুলি চালায়। সে সময় একটি বুলেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাদির কোমরের নিচে ডান সাইডে লেগে মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে তলপেটের নাভির পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এবং পেটের নাড়ি বের হয়ে গেলে বাদি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুলির আওয়াজ কম হলে বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে সাক্ষীগনসহ কিছু জনতা ঘটনাস্থলে দেখতে পান বাদির নিথর দেহ পড়ে আছে। সে সময় বাদির কোমরের পিছনে ও নাভির পাশ দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এ সময় সাক্ষীগনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন বাদিকে উদ্ধার করে জায়গীরমহল হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে বাধাগ্রস্থ করায় বাদীকে নিয়ে গোপন জায়গায় চিকিৎসা করাতে থাকে। পরবতর্ীতে বাদীর অবস্থা আশংকা জনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। দির্ঘদিন চিকিৎসা করতে গিয়ে বাদির ভিটাবাড়ি ও অর্থসম্পদ হারিয়ে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যায়।আসামীগন এলাকায় চাঁদাবাজি,মাদক ক্রয়-বিক্রয়,খুন-জখমকরা ও সুন্দরবনে ডাকাতি করা সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। বাদী তার জীবনের নিরাপত্তার কারনে এতদিন কোন মামলা করতে পারেনি।
এ জাতীয় আরো খবর..