মোঃ তারিকুল ইসলাম, হোমনা প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) রাতে উপজেলার বড় ঘারমোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হলে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাগগেছে , ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘারমোড়া এ কে এম ফজলুল হক মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বড় ঘারমোড়া গ্রামের জুলফু মিয়ার ছেলে মামুন (১৯) ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার সহযোগী রাসেল(২৩), ইয়াসিন(২১)ও জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির(২১) নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। ৩০ জানুয়ারি তার এক বান্ধবীর বাড়িতে পিকনিক করতে গেলে পরিকল্পনা মতে তাকে কনু মিয়ার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।
পরবর্তীতে মামুন ও তার বন্ধুদের সহযোগীতায় ভিকটিম ছাত্রীকে অপহরন করে মোজাম্মেল হোসেনের বালুর মাঠে নিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় কাউকে না জানাতে এবং মামলা না করার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ভিকটিম ছাত্রীটি ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। এ ঘটনা ফেইজ বুকে প্রকাশ হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি)রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভিকটিম ছাত্রীর মা রেজেনা আক্তার।
আসামীরা হলো - বড়ঘারমোড়া গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে মামুন(১৯), একই গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে রাসেল(২৩), ওসমান মিয়ার ছেলে ইয়াসিন(২১) ও জমির আলী ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম(২১) ওরফ জহির।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম জানান, ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।