সারোয়ার হোসাইন, শেরপুর
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাঘ মাসের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গারো পাহাড়ের পাদদেশে সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় গত দুই/ তিনদিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। এতে কষ্ট বেড়েছে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের।
শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে বেড়েছে বেচাকেনা। নানা ধরনের শীতের কাপড় দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে দোকানগুলো।
বিশেষ করে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের ভোগাই ব্রিজের উপরে জমে উঠেছে ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতবস্ত্র বেচাকেনা। দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি, এভাবেই শীতের কাপড় বিক্রি করছেন দোকানিরা। নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা রাস্তার পাশে বসা অর্থাৎ হকারদের বিক্রি করা পুরাতন গরম কাপড়।
সরেজমিন দেখা যায়, এই পুরাতন কাপড়ের খোলা দোকানে নানা বয়সী মানুষের ভিড় রয়েছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের দেখলেই করছেন হাঁকডাক। ক্রেতাদের দেখা গেছে পরিবারের জন্য কাপড় কিনতে ব্যস্ত। পছন্দ মতো কয়েকটা দোকানে ঘুরে ঘুরে ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেন, আমার দোকানে সর্বনিন্ম ৫০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৫০০/১০০০ টাকার কাপড় আছে। যা পছন্দ মতো কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।
বিক্রেতা হারেজ আলী বলেন, আমি ১০ বছর ধরে ভ্যানে এই কাপড় বিক্রি করি। দিনে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারি, শীত বেশি হলে আরও বেশি বিক্রি হয়। তবে পৌষ মাসের শুরুতেই শীতের তীব্রতা কম থাকায় বেচা-কেনা কম হয়েছে। মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেচা-কেনা বাড়বে বলে ধারনা করছি।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায়, গ্রাম অঞ্চলের কৃষি কাজের সাথে জড়িত নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্টে পার হচ্ছে দিন। কারণ শীতের অতিতীব্রতার কারণে কাজ করতে পারছে না নিম্ন আয়ের পরিবার গুলো।
এ জাতীয় আরো খবর..