পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি:
চলতি রবি মৌসুমে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ৮ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে সরিষার বম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষার ভাল ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় কৃষকরা হাঁসিমুখে রয়েছেন। সে সাথে ভাল দামের আসায় বুক বাঁধছেন তারা। এ মৌসুমে উপজেলার কৃষকরা স্থানীয়ভাবে ব্যাপকভাবে বারী সরিষা- ১৪, বারী সরিষা- ১৭, ১৮, ১৯, টরী-৭, বীনা- ৪, ১৮, ও বীনা-১৭, জাতের সরিষার চাষ করেছেন। তবে গত বছরে ফলন ভাল হওয়ার কারনে কৃষকরা বারী সরিষা- ১৪ বেশী লাগিয়েছেন বলে জানাগেছে। বারী সরিষা- ১৪ বিঘা প্রতি ১০-১২ মন, টরি সরিষা- ৭ প্রতি বিঘা ৬-৮ মন এবং বীনা জাতীয় সরিষা ৬-৭ হারে ফলন হতে পারে বলে কৃষকরা মনে করছেন। সরিষার বর্তমান বাজার দর মণ প্রতি ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকা হলেও নতুন সরিষা ওঠার সময় এর দাম কিছুটা কমে মণ প্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ হতে পারে বলে কৃষকরা মনে করছেন। তারা সরিষার ক্ষেত দেখে খুশি হলেও দাম নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছেন। তবে বর্তমান যে বাজার দর রয়েছে তা থাকলে তাদের কোন সমস্যা হবেনা বলে জানান তারা। কোন কারনে দাম কম হলে সরিষা চাষ করতে যে খরচ হয়েছে তা মিটিয়ে নিজের কাছে অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না বলে মনে করছেন তারা। গাঙ্গুরিয়া গনেশপুর গ্রামের কৃষক সরিষাচাষী আনিসুর রহমান, নিতপুরের সরিষাচাষী আকবর আলী ও মহশীন আলী জানান, তাদের লাগানো সরিষার ক্ষেত খুব ভাল হয়েছে। তারা আসা করছেন ফলনও ভাল হবে। কিন্তু দাম ভাল হবে কিনা চিন্তা করছেন। তবে ভাল ফলনের পাশাপাশি দাম ভাল পেলে অনেকেই সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকবেন বলে তারা মনে করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে শরিষা চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪০ মেট্রিকটন। আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে সরিষা ক্ষেত খুব ভাল দেখা যাচ্ছে ফলে লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান, সরিষা চাষের প্রতি কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য তারা নানান দিক নিয়ে তাদের প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন এবং ব্যাপকভাবে প্রণোদনাও দেয়া হয়েছে। কৃষকেরা ভবিষ্যতে সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাবেন বলে তিনি আশা করছেন।