×
সদ্য প্রাপ্ত:
বর্ণীল আয়োজনে উদ্বোধন হল জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয় পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও দিনাজপুরে পুলিশের ফায়ারিং রিহার্সাল গুলিতে বাড়িতে গুলিবিদ্ধ কিশোরী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলেক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল পঞ্চম তম খতমে বুখারী উপলক্ষ্যে জামিয়া হোসাইনিয়া তজুমদ্দিন মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় প্রশংসায় ভাসছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি মোঃ সোহেল রানা সৌদি আরব ফিউচার মিনারেল ফোরাম SR১০৭ বিলিয়ন মূল্যের ১২৬টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পুলিশ ভালো মানুষের বন্ধু আর খারাপ মানুষের শত্রু: ওসি কোতোয়ালি মানিকগঞ্জে নারীকে গলা কেটে হত্যা সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব-২০২৫ উদ্বোধন
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-১৯
  • ২১ বার পঠিত
রহমত আল আকাশ, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে পুলিশের ফায়ারিং রিহার্সাল গুলিতে বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোরী।  গতকাল (১৮ জানুযারি) উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের পশ্চিমে শীবরামপুর কোম্পানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পরিবারের দাবি, পুলিশের বাৎসরিক প্রশিক্ষণ চলাকালে পুলিশের বন্দুক থেকে ছোড়া একটি গুলি ওই কিশোরীর পায়ে এসে লাগে।


পুলিশের বাৎসরিক প্রশিক্ষণ চলাকালীন একটি গুলি প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে এক কিশোরীর পায়ে আঘাত করেছে। আহত কিশোরী দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে। এই ঘটনায় পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


আহত ওই কিশোরীর নাম শাহনাজ পারভীন (১৫)। সে শিবরামপুর এলাকার জালাল উদ্দিনের মেয়ে ও দিনাজপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গত ১২ জানুয়ারি থেকে দিনাজপুর আনসার ও ভিডিপি ফায়ারিং স্কোয়াডে পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ফায়ারিং রিহার্সাল (প্রশিক্ষণ) চলছে। এটি চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আহত শাহনাজ পারভীন  জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির উঠানে চেয়ারে বসে রোদ পোহাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডান পায়ের হাঁটুর ওপরে কি জানি এসে লাগলে আমি চেয়ার থেকে পড়ে যাই। ব্যথায় চিৎকার করে উঠি। পরে পায়জামা তুলে দেখি রক্ত বের হচ্ছে। পায়জামার টান পেয়ে গুলিটা মাটিতে পড়ে যায়। ওই সময় ধরধরায় রক্ত বের হতে শুরু করে।

শাহনাজ পারভীনের বাবা জালালউদ্দিন বলেন, মেয়েকে নিয়ে আনসার ভিডিপিতে যাই। সেখানে অফিসারদের গুলিটা দেখাই এবং সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ ও আনসারের বড় অফিসারেরা আমার বাসায় আসেন। তাঁরা গুলিটার ছবি তুলে নেন। পরে পুলিশের বড় স্যার হাসপাতালে যান।


এই ধরনের অসাবধানতার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে জালালউদ্দিন বলেন, ‘আজকে না হয় আমার মেয়ের পায়ে লাগছে, আরেক দিনতো কারও গায়ে পেটেও লাগতে পারে! ওরা বলতেছে মাইকিং করছে, কিন্তু কই, আমরাতো কোনো মাইকিং শুনিনি।


শাহনাজের মা সাবেকুন নেহার বলেন, মেয়ের আমার পুলিশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল। আজকে সেই মেয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হইল। এখন তো আর লাইনে দাঁড়াইতেও পারবে না। ওর সামনে পরীক্ষা, প্রতিদিন সকালে কোচিংয়ে যায়। এখন সুস্থ হইতে যে কয়দিন লাগবে কে জানে!

এ বিষয়ে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রাকিবল ইসলাম বলেন, আঘাত নিয়ে আমাদের কাছে এলে আনুমানিক এক সেন্টিমিটারের মতো গর্ত দেখতে পাই। ওখানে গুলি ছিল না। তবে রোগীর কথা অনুযায়ী ওরকম একটা কিছুর আঘাত হতে পারে। পরে আমরা চিকিৎসা দিয়ে ব্যান্ডেজ করে রোগীকে ছেড়ে দেই।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান বলেন,দিনাজপুর পুলিশের নিজস্ব কোনো ফায়ারিং স্কোয়াড নেই। ফলে পুলিশের বাৎসরিক ফায়ারিং রিহার্সাল করতে হয় আনসার ভিডিপির ফায়ারিং স্কোয়াডে। গত ১২ তারিখ থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ১১০ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। আমরাতো প্রতিবছর ফায়ারিং প্র্যাকটিস করি। ওখানকারই একটা গুলি হবে সম্ভবত ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে একটা মেয়ের পায়ে আঘাত করে। এটা একটা অ্যাক্সিডেন্টাল ঘটনা। আমরা গুলিটা জব্দ করেছি। তবে, এত দূর গুলিটা যাওয়ার কথা নয়। গুলি লাগার যে অভিযোগটি করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তিনি আরো জানান, এ সমস্ত বিষয়ে আমাদের আরও সাবধান ও যত্নবান হওয়া উচিত। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat