সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধি
ঋনের দায়ে জর্জরিত পরিবার। স্ত্রী, সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক রাজমিস্ত্রি। বৃহস্পতিবার ( ১৬ জানুয়ারি ) সকালে ভারতের উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির উত্তর সমরনগরে ভাড়াবাড়ি থেকে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, উত্তর সমরনগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন শ্যামল রায়, টুম্পা রায়। ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের একমাত্র সন্তান পিন্টু রায়। বয়স ৫ বছর। বিয়ের পর থেকে এই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা। শ্যামল পেশায় রাজমিস্ত্রি। টুম্পা একটি দোকানে চপ ভাজতেন। এলাকায় সজ্জন পরিবার হিসেবে পরিচিত। এদিন সকাল থেকে টুম্পাকে ফোন করে পাননি তাঁর বাবা কালীপদ রায়। এরপর মেয়ের বাড়িতে ছুটে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। দরজা ধাক্কা দিতে থাকেন। কিন্তু কেউ খোলেনি। এরপর জানালা দিয়ে দেখেন জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ। খবর দেয় পুলিশের কাছে। তাঁরা এসে দেখেন, স্ত্রী ও সন্তানের দেহ পড়ে রয়েছে ঘরে। ঝুলছে শ্যামলের দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে খুন করে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন শ্যামল। চপের দোকানের ব্যবসা বড় করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তাই বাজার থেকে প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ধার মেটাতে না পেরেই চরম পথ বেছে নিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..