জকিগঞ্জ (সিলেট) :
জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের এক সদস্যের বিরুদ্ধে এক বিধবা মহিলার কাছ থেকে টিউবওয়েল দেয়ার নাম করে ত্রিশ হাজার ও বিধবা ভাতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার নাম করে পাচ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সুলতানপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুর রহমান। ভুক্তভোগী ঐ বিধবা নারী সুলতানপুর ইউনিয়নের কাছারচক গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর স্ত্রী সিতারা বেগম। তিনি তার উক্ত টাকা ফেরৎ পেতে প্রায় দুসপ্তাহ আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে সিতারা বেগম উল্লেখ করেন, তার বাড়ীতে কোন পুকুর না থাকায় সুলতানপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুর রহমানকে একটি টিউবওয়েল দেয়ার নাম করে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে আবার তাকে বিধবা ভাতার লিষ্টে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরো পাঁচ হাজার টাকা নেন। কিন্তু ৩/৪ বছর পার হয়ে গেলেও টিউবওয়েল কিংবা বিধবা ভাতা কোনোটা না পেয়ে টাকা ফেরৎ চাইলে মেম্বার আজিজুর রহমান টালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালেও কোন প্রতিকার পাইনি।
অভিযোগ রয়েছে ঐ মেম্বার এলাকার একাধিক নারী-পুরুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতা ও টিউবওয়েল পাইয়ে দেয়ার নাম করে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছেন। নালুচক গ্রামের প্রবাসী জমির আলীর স্ত্রী আছমা বেগম জানান, তার কাছ থেকে আজিজুর রহমান মেম্বার ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বছর গোরানোর পরে একটি টিউবওয়েল পাইয়ে দেন।
জানতে চাইলে কাছারচক গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল বলেন, ঐ মহিলার টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি সত্য। ঘটনার পরে ভুক্তভোগী মহিলা একাধিকবার আমাকে বিষয়টি জানালে আমি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিষয়টি অবগত করার পরামর্শ দেই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় আমি ঐ মহিলার কাছ থেকে টাকা পয়সা ধার নিতাম। বর্তমানে তিনি আমার কাছে আট হাজার টাকা পাওনা আছেন। আমি নির্বাচনের আগে তাকে বলেছিলাম, নির্বাচিত হলে তাকে একটি টিউবওয়েল ও বিধবা ভাতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবো। কিন্তু পরবর্তীতে তা সম্ভব হয় নাই। অভিযোগ উল্লেখিত টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সত্য নয়।
ইউপি সদস্য কর্তৃক বিধবা মহিলার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে সুষ্ট তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম বলেন, ‘ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’