ঢাকাই সিনেমার গণমানুষের নায়ক মান্না। দুই যুগেরও বেশি সময় বাংলা চলচ্চিত্রে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন মান্না; যা আজও দাগ কেটে আছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। কিন্তু জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
দেশের কোটি ভক্তদের মতো সহকর্মীরাও স্মরণ করেন এই অভিনেতাকে। যেমনটা স্মরণ করলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। একসময়ের ব্যস্ততম অভিনেত্রী শ্রাবন্তী এখন আর ক্যামেরার সামনে আসেন না। একদম আড়ালেই চলে গেছেন এই জনপ্রিয় তারকা। তবে সামাজিকমাধ্যমে ভক্ত অনুরাগীদের সংস্পর্শে থাকেন তিনি। শেয়ার করেন নিজের অনুভূতি, হালচাল। সম্প্রতি প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার সঙ্গে একটি পুরোনো স্মৃতি শেয়ার করলেন শ্রাবন্তী। একটি ছবি, যেখানে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে মানা-শ্রাবন্তীকে।
ছবিটি নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করে আবেগঘন এক ক্যাপশন দেন শ্রাবন্তী। যেখানে তিনি লিখেছেন, আমাদের প্রিয় মান্না ভাইয়ের সঙ্গে শেষবার ২০০৫ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে, আল্লাহ তাকে চির শান্তি দান করুন! এই লালিত স্মৃতি স্মরণ করা আমাকে গভীর আবেগের জগতে নিয়ে যায়।’ মান্নার প্রতি তার এমন ভালোবাসা দর্শকদেরও আবেগতাড়িত করে দেয়। বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির যে কজন তুমুল জনপ্রিয় নায়ক দর্শক হৃদয়ে অমরত্বের ছাপ রেখে গেছেন, মান্না তাদের মধ্যে অন্যতম।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল মান্নার। ১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। মূলত এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই রুপালি জগতে পা রাখেন মান্না। এ সময় ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন তিনি।
মান্না অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ‘পাগলি’। তবে ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের নজরে আসেন মান্না। মান্না অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দাঙ্গা’, ‘লুটতরাজ’, ‘তেজী’, ‘আম্মাজান’, ‘বীর সৈনিক’, ‘শান্ত কেনো মাস্তান’, ‘বসিরা’, ‘খল নায়ক’, ‘রংবাজ বাদশা’, ‘সুলতান’, ‘টপ সম্রাট’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’ ইত্যাদি।
অন্যদিকে বিজ্ঞাপন, নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করে দর্শকপ্রিয়তা পান শ্রাবন্তী। তার অভিনীত ‘রং নাম্বার’ সিনেমাটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বর্তমানে শ্রাবন্তী নিউইয়র্কে বসবাস করছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..