মাসুদুর রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনারোধে ও রাস্তা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘ প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ৫টি মাদ্রাসা, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
আজ বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরের একরামপুর রেলগেইট থেকে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কের সতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে জামিয়া নুরানিয়া তারাপাশা মাদ্রাসা, মাদ্রাসা দারুল উলুম, সতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার পাঁচটি মাদ্রাসা ও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-
শিক্ষার্থী এবং এলাকার মানুষ এতে অংশ নেন। এ সময় একরাপুর ও সতাল এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রীরা।
মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাজী ইসরাইল মিয়া, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৪ বারের সাবেক কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরজু, কিশোরগঞ্জ জেলা ইমাম উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুফতি আবুল বাশার, ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম উজ্জ্বল,স্কুল- মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র সহ উপস্হিত অনেকেই।
এ সময় বক্তারা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়ক হয়ে হাওড়ের ৫টি উপজেলার মানুষ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়কটি দীর্ঘ ৬ বছর ধরে প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। মাঝে মাঝেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সড়ক দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সকল বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্সাধিক মানুষ চলাচল করে। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন একরামপুর রেলগেইট হতে সতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাজে ধীরগতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় নানা দূর্ঘটনা। একটি গাড়ি অপর একটি গাড়ীকে ক্রসিং করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ শহরমুখী সর্বসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও জনদুর্ভোগ লাঘবে উল্লেখিত নির্মাণাধীন সড়কগুলো অবিলম্বে সংস্কার না হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন বক্তারা। তবে এ বিষয়ে সওজ এর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশ না করার
শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন জমি অধিগ্রহনে আর্থিক বরাদ্দের অপ্রতুলতার কারনে কাজটি শুরু করা যাচ্ছেনা।তবে নাকভাঙা হতো যশোদল হয়ে বাইপাসের কাজ চলমান আছে।জমি অধিগ্রহনের বরাদ্দের নিশ্চয়তা পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা যাবে।এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাজ চলমান রয়েছে এবং জনসাধারনকে কিছুদিন ধৈর্য ধরার আহবান জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..