দেশ বা বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দান বা অনুদানের মাধ্যমে পরিচালিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ সেবা বা পণ্যের জোগান দিলে তাতে কোনো উৎসে ভ্যাট দিতে হবে না অর্থাৎ এই ফাউন্ডেশনের সব কার্যক্রমকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সম্প্রতি এনবিআর আদেশ জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭নং আইন)-এর ধারা ১২৬ এর উপধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এনবিআর প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রমকে ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দিল। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের সব ধরনের প্রকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে যোগানদার সেবাকে উৎসে মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত সভায় ফাউন্ডেশনের একটি নির্বাহী পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. সারজিস আলম, অর্থ সম্পাদক হিসেবে মোহা. আহসান হাবীব চৌধুরী এবং নির্বাহী সদস্য হিসেবে অ্যাডভোকেট মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি ও ডা. তাসনিম জারাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম শাহীনকে প্রধান করে একটি লিগ্যাল সাপোর্ট টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ছয় সদস্যের একটি গভর্নিং বডি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, কাজী ওয়াকার আহমাদ, নূরজাহান বেগম, শারমীন এস মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে সেখানে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের তৃতীয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬১ হাজার ২৪০ টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬৫ জন শহিদ পরিবারকে ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ৭৭৫ জন আহতকে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ১৯০ টাকা দেওয়া হয়েছে সহায়তা হিসেবে। অর্থাৎ মোট ১ হাজার ১৪০ জনকে ২৬ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ১৯০ টাকা বিকাশ ও চেকের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..