×
সদ্য প্রাপ্ত:
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-০৩
  • ১৮ বার পঠিত
সানোয়ার ইসলাম মামুন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
নির্মিতব্য এতিমখানার ভবনকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি থানায় মামলা। আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে মাওঃ নূর আহমদ কাসেমকে খুনের হুমকি দিচ্ছে।

ময়মনসিংহ শহরের খাগডহর মদিনানগর এলাকায় অবস্থিত জামিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা মসজিদ ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা মাওঃ নূর আহমদ কাসেম এর কাছে একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে চাঁদার টাকা না দেয়ায় মাদ্রাসার এতিম খানার জন্য নির্মিতব্য ভবনের বাউন্ডারী ওয়ালসহ নির্মাণ কাজ ভেঙ্গে তছনছ করে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।

এতে এতিমখানার ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাদ্রাসার স্বত্ত¡াধিকারী মাওঃ নূর আহমদ কাসেম কোতোয়ালী মডেল থানায় গত ২২/১১/২০২৪ ইং তারিখে ১৪৩/৩৪১/ ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৩৭৯/৫০৬ (ওও) ধারায় ৫৪নং মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় খলিলুর রহমান সাদিক, মোস্তাফিজুর রহমান ফুরকান, বদরুন্নাহার লিপি, মনি, মাহাবুবুর রহমান পাহলবি, শফিকুল ইসলাম, মারুফ মিয়া, মনোয়ারা বেগম, শর্ণা, ইফফাত হাসান রিজন, মোঃ মিঠু, নজরুল ইসলাম ওরফে টেক্কা নজরুল,আরব আলী,আজিজুর রহমান মানিক,তাজুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে আসামীরা একদলভ‚ক্ত, সন্ত্রাসী, অরাজকতা সৃষ্টিকারী, চাঁদাবাজ, গুন্ডা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ত্রাস সৃষ্টিকারী, নেশা সেবনসহ বিক্রয়কারী ও দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোক।

খাগডহরে সাফ কবলা দলিলমূলে ক্রয়কৃত ভূমির উপর চতুর্দিকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করে ৭ তলা ফাউন্ডেশনের উপর আন্ডারগ্রাউন্ড বেইজম্যান্ট করে ৩ তলা মাদ্রাসা ভবন এতিমখানা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু করে। কাজ চলমান রয়েছে। 

এমতাবস্থায় গত ১৯/১১/২০২৪ ইং তারিখে বেলা অনুমান ১১ টায় মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে খলিল,মোস্তাফিজ,মনি ও মারুফসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রবেশ করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

আগামী ১ দিনের মধ্যে চাঁদা না দিলে মাদ্রাসা ও মসজিদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে একদিনেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

চাঁদার টাকা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা গত ২১/১১/২০২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১ টায় মাদ্রাসার বাউন্ডারীর সন্নিকটে এসে মাওঃ নূর আহমদ কাসেমকে ঘেরাও করে। অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে ১ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

অতর্কিতে ৪ শতাধিক লোক হামলা চালিয়ে এবং বুলডোজার দিয়ে নির্মিতব্য ভবনের সকল কিছু ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে। মাদ্রাসার শিক্ষক ও এতিম ছাত্ররা এই নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম অসহায়ের মত অবলোকন করে। চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর ছিল না। 

এখনো মাওঃ নূর আহমদ কাসেমকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি একাধিক জিডিও করেছেন। সাংবাদিকদেরকে জানান আসামীরা যেকোন মুহুর্তে আরও যে কোন ধরনের ক্ষতি সাধণ করতে পারে। আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এরা আরও বেপরোয়া হয়ে গেছে ও হিংস্র  হায়েনার মূর্তি ধারন করেছে।

মাওঃ নূর আহমদ কাসেম প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহায়তা চেয়ে মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মসজিদকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

আজ ১লা ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানা থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেনাবাহিনীও নৈরাজ্যকর ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটনাস্থলে এসে ইতোপূর্বে পর্যবেক্ষণ করে গেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat