×
সদ্য প্রাপ্ত:
বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের নামে কোনো রকম কোনো কম্প্রোমাইজ করবে না-হাজী ইয়াসিন ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নজিরবিহীন রেকর্ড, ছাড়িয়েছে ৩০০ সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নজিরবিহীন রেকর্ড, ছাড়িয়েছে ৩০০ কাপ্তাই সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং শিশু নিকেতনে বিজয় দিবসের প্রস্তুতি কুমিল্লা মেঘনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও টাকাসহ আটক-৫ শেরপুরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিএনপির বিক্ষোভ শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা খুলনা ঢাকা পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প জনবল সংকটে এখনই শুরু হচ্ছে না ট্রেন যাত্রা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৭-০৬
  • ১৩৪ বার পঠিত
রোকন বিশ্বাস-পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোবারক হোসেন বাবুর পুত্র সাদ্দামের কাছে গত ২৩ শে মে ২০১৯ সাল এ সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের জন্য অধিগ্রহণকৃত জায়গা লীজ প্রদান করে।যার স্মারক নাম্বার টি-১৭/৫৯২ ডেমরা মৌজায় আর,এস দাগ নং ৮৩২ এস,এ দাগ নং ৬২২ দাগের সম্পত্তি।এই সম্পত্তি লীজ থাকা অবস্থায় হস্তান্তর করে ডেমরা পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত্যু আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে নাসিম সরদারের কাছে।তিনি এই জায়গাতে কুঠিরশিল্প তৈরী করে বিক্রয় করছিলেন সেই সাথে কিছু বেকার মানুষের কর্ম সংস্থান তৈরি হয়েছিলো।কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড আবারো নতুন করে ডেমরা এলাকায় আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে রিপন ইসলামের কাছে এই সম্পত্তি লীজ দেয় ২০২৪ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারিতে,যার স্মারক নাম্বার এ/৪/১৪৪৩।এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এডি মোশাররফ হোসেনের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও কোন সুরাহ পাওয়া যায় না।প্রশ্ন উঠেছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেন এমন কাজ করলো সকল প্রশ্নের উত্তরেই অর্থ জুড়ে আছে?এই সকল অভিযোগ এর ব্যাপারে ফিল্ড অফিসার রাজীবের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে দেখা মেলে না তারও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসেও।পানি উন্নয়ন বোর্ডের এডি মোশাররফ হোসেন কে বললে তিনি বলেন,আমরা যথা সাধ্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।দীর্ঘ লম্বা সময় পার হলেও আইনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষরা।শুধু তাদের মুখের কথাতেই এমন আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে যা বাস্তবতার কোনই মিল নেই। কথা উঠেছে ডেমরা ইউনিয়নে  এই সম্পত্তি লীজ দেওয়াতে কত টাকা ঘুষ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতৃপক্ষরা।যদি ঘুষের কারবারী না হতো তাহলে কেন এই জায়গার সুরাহা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তর যেন সবারই অজানা।প্রশ্নের উত্তর মিলছে হাজার হাজার টাকা ঘুষের একটি রমরমা ব্যবসা,এই টাকা বানিজ্যের ব্যবসায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষরা পাবনা সদর থানায় আটকও হয়েছিলো।তারপরেও থেকে নেই তারা ঘুষ থেকে।দালালদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাকা বানিজ্যের এর মহা উৎসবে জর্জরিত হয়ে আছে।

এদিকে লীজকৃত সম্পত্তি নিয়ে বাদী বিবাদীরা দুই জনের মধ্যে মারামারি হানাহানিতে পরিনত হলে এর দ্বায়ভারই বা কে নিবে এমন প্রশ্ন উঠেছে ডেমরা ইউনিয়নবাসীর।স্থানীয়রা আরো জানান,সম্পত্তির জের ধরেই বেশির ভাগ মারাত্মকভাবে মারামারি ও মার্ডার হচ্ছে এই পর্যায়ে গেলে কি পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়ভার নিবে,যদি না নেয় তাহলে অবশ্যই এই সম্পত্তির সুরাহা করতো।পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষরা কি মার্ডার হোক এমনটাই চায় বর্তমানে?হাজারো প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসারদের সাথে সাক্ষাৎ ও মেলে না ঠিক মত।শুধু পিয়ন ও সিকিউরিটি গার্ডের দেখা মেলে সার্বক্ষণিকভাবে।সিকিউরিটি গার্ডকে অফিসারদের কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে ঘুষের টাকা নিয়ে ধরা পরায় ঠিকমত স্যাররা অফিসে আসে না আসলেও সর্বোচ্চ বিশ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর চলে যায়।তাদের কথা শুনে আমরাও হতবাক এ কেমন চাকুরী যা দেখার কেউই নেই আবার বলার ও কেউ নেই।এমন দৃশ্য আর কতদিন চলবে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের?দিনের পর দিন পওর এর কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে লীজ নেওয়া গ্রাহকেরা।পাবনা পওর এর গাফিলতির সন্ধান মেলে নাম ঠিকানা গোঁপন রেখে ডেমরা এলাকা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহক বলেন,আমার বড় ভাইয়ের মাধ্যম দিয়ে ডেমরা সুইচগেট পাহারাদার গাজী ও রমজানের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয় তার পরিপ্রেক্ষিতেই আবার এই জায়গাটা লীজ দেয় ডেমরা অঞ্চলের ছেলে রিপনের কাছে।এই সকল কার্যক্রম করছে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।এতে আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি আমাদের টাকা নিয়ে নিজের পকেট ভরছে অফিসাররা আর ফাঁকি দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।যে যখন মোটা অংকের টাকা দিতে পারে তাকেই দেওয়া হয় লীজ এই সম্পত্তি গুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat