এম মোহাম্মদ ওমর, শরনখোলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের সাইনবোর্ড–বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪টি নদী ও খালের উপর সেতু নির্মাণে ধীরগতির কারণে ভোগান্তি পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
প্রায় সাড়ে ৩ বছেরেও নির্মাণ শেষ হয়নি বাগেরহাটের ৪টি সেতুর কাজ এর মধ্যে একটি সেতুর কাজ শুরুই করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ।এতে সরু সড়ক পুরোনো সেতু দিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগে এলাকাবাসী তবে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রকল্পের খরচ না বাড়িয়ে মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর কথা জানায় সড়ক বিভাগ।
শরনখোলা উপজেলার নলবুনিয়া খালের উপর পুরোনো সরু সেতু দিয়ে নামতে দেখা যায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসকে সাইড দিতে গিয়ে পরে একটি বাইক বাইকে ছিলেন চালক ও একজন আরোহি, পাশেই রয়েছে নির্মাণাধীন প্রসস্থ সেতু।
এক প্রকল্পের মাধ্যমে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় ৩টি ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় ১টি মোট ৪ টি সেতু নির্মানে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।২০২১ সালের ১২ ই আগস্ট, মীর হাবিবুল আলম নামের এক ঠিকাদার এ কাজের দায়িত্ব পান, মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদী ও শরনখোলা নলবুনিয়া খালের সেতু নির্মাণ ৬০ শতাংশ হলেও চলছে ধীরগতিতে অন্যদিকে শরনখোলার বকুলতলা খালের শ্যম বাড়ি এলাকার সেতুর কাজ এখনো শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদার।
এছাড়া তাফালবাড়ী খালের সেতুর কাজ ৩০ ভাগ শেষ করে নির্মাণ সামগ্রী যন্ত্র তন্ত্র ফেলে রেখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সরু সড়ক পুরোনো সেতু দিয়ে চলা চলে দুর্ভোগে এলাকাবাসী, প্রায় ঘটেছে দুর্ঘটনা । শরনখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী খালের সেতুর পাশেই মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ নাসরুল্লাহ জানান একটি গাড়ি যদি ব্রিজের উপরে উঠে আর একটা গাড়ি যেতে পারেনা দুই পাসে সড়ক রয়েছে যুকি পুর্ন, এবং রাস্তার কাজের সরঞ্জামাদি ফেলে রেখেছে রাস্তায়। ফলে মাঝে মাঝে দূর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আর একজন জানান এখন রিতিমত ধান তারপর কাঠ বোঝাই করে ট্রাক চালাচল করে এবং তারা ধারন ক্ষমতার চেয়ে ও অনেক বেশি মালামাল বোঝাই করে এতে করে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়তে হয় মনে হয় ব্রিজ এখনি ভেংগে পড়বে।
আর রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি যে পরিমাণ হয় তা বলার বাহিরে দৈনিক সোনালী কন্ঠ শরনখোলা প্রতিনিধি,এম মোহাম্মদ ওমরকে জানান আপনি শরনখোলা থেকে মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত দেখেন তার মধ্যে উপজেলার রায়েন্দা পর্যন্ত শুধু ধারন ক্ষমতার বাহিরে বোঝাই করে মালামাল নেওয়ায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয় । তারপরে উপজেলার রায়েন্দা থেকে কে শুরু করে মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত বাস ট্রাক দুইটাই চলে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায় ভারি যানবাহন ব্রিজে উঠলে ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে যায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে নড়াচড়া করে আমরা তখন ভয়ে ভয়ে ব্রিজে থেকে যাওয়া আসা করি ।
তাফালবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী মোঃ ওসমান মীর জানান ব্রিজের কাজ তারাতারি করে সম্পন্ন হলে যানবাহন ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের উপযোগী হবে নিরাপদে যাওয়া আসা করতে পারবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী,সড়ক বিভাগ, বাগেরহাট (আশরাফুল ইসলাম )জানায় এই কাজের সার্বিক অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ এবং এই কাজের মেয়াদ আমাদের ২০২৫ জুন পর্যন্ত রয়েছে।তবে আমরা সার্বিক বিবেচনায় আরো এক বছর সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছি ব্যায় বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই ।গত বছর আগস্টে দেশে রাজনৈতিক পথ পরিবর্তনের কারনে কাজে ধীরগতি আসে, তবে দ্রুত কাজ শেষ করতে খরচ না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে সড়ক বিভাগের তথ্য মতে চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে, সেতু গূলো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।