×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-১৫
  • ৫৮ বার পঠিত
অনেক বছর পরে আপনাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে এসেছি এটা কোন রাজনৈতিক সভা নয়, এটা আপনাদের ভালো-মন্দ খোঁজ খবর নেয়ার জন্য এসেছি। 
আপনারা আমাকে এমপি বানিয়েছেন কিন্তু, শেষের তিনটা নির্বাচনে আমাকে পুলিশ বাসা থেকে বের হতে দেয়নি, ভোট কেটে নিয়ে গেছে। আজকে আমি যে সব কথা বলব সেগুলো কোন রাজনৈতিক নেতারা বলে না। 
এবং অনেক দুঃখ ও বেদনার সাথে অনেক কথা বলব, আপনারা আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন, এই ফুল পাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই কারণ, আমি আপনাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব নিতে পারিনি। 
এই দেশটা গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা এবং শেখ হাসিনা নামক সন্ত্রাসী এই দেশটাকে লুটপাট করে গেছে, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, প্রত্যেকটা হাট বাজারে বন্দরে গুন্ডা সৃষ্টি করে গেছে, লুটতরাজ করে দেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে।
আল্লাহর গজব তাদের উপর পড়েছে তাই সবাই পালিয়েছে। 
আমি জানি চরের মানুষ অনেক কষ্টে আছে কারণ, বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সিস্টেম এখন এই দেশের সাধারণ মানুষের ভালো থাকার উপায় নেই। 
যত উপরে যাবে তত গুন্ডা পান্ডারা উপরে থাকে যার ফলে সাধারণ মানুষের অনেক দুঃখ! আমি তো আগে জানতাম না যে, এই চরে গরু এবং মহিষকে ঘাস খাওয়াতে হলে  টাকা দেওয়া লাগে, আজব কারবার এগুলো তো আগে জানতাম না। 
এই ধরনের অত্যাচারের শিকার আপনারা, এই চরে অনেক অন্যায় হয়েছে অত্যাচার হয়েছে। নদীতে ঘর ভিটা ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে অন্য চরে গিয়ে ঘর তুলতে হলে সেখানেও নাকি টাকা দেওয়া লাগে। এই ধরনের নানা রকম অত্যাচার অবিচারের শিকার আপনারা, কারা কারা এই অত্যাচার করে সব আমি জানিনা। ইতোমধ্যে এই চরের অনেক অনিয়মের খবর আমার কাছে এসেছে। আপনাদের মধ্যে কেউ একজন সাহস করে বলতে পারবেন যে কি কি অন্যায় অত্যাচার হয়েছে আপনাদের উপর, তাৎক্ষণিক নূরে আলম মেম্বরকে স্টেজে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলতে শুরু করলে মেজর হাফিজ বলেন এট নাম্বার অসুবিধার কথা আমি বলি এক নাম্বার অসুবিধা হচ্ছে, আমরা যারা এখানে আছি। 
পরে নূরে আলম মেম্বারকে দুই নাম্বার বলতে বললেন এবং তিনি বললেন, এই চরের অসুবিধার সকল কিছুই আপনার জানা আছে এবং তদন্ত রিপোর্টও আপনি সংগ্রহ করেছেন। 
আপনি সেদিন বলেছিলেন যাদের কাছ থেকে তরমুজের বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছিল তাদের টাকা পাঁচ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য কিন্তু, সেই টাকা আজ পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। 
এরপর আপনি আরো বলেছিলেন, চর ফারজানাতে যেসব ভিটে খালি রয়েছে সেখানে ভূমিহীন মানুষকে ভিটেতে ঘর তুলে দিতে,দায়িত্ব আমাদের তিনজনকে ১/ জাকির হোসেন মনু ২/ শাহাদাত পাটোয়ারী ৩/ আমি নূরে আলম মেম্বারকে কিন্তু, সেখানে ভিটে বাদে আমি জানিনা। নূরে আলম মেম্বার আরো বলেন, যাদেরকে এই চরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা আওয়ামী লীগ পালে, আওয়ামীলীগ বহাল তবিয়তে এখনো চলাফেরা করছে। 
তরমুজের টাকার বিষয় শাহাদাত পাটোয়ারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি কিন্তু, জমির মালিকদের অভিযোগ তাঁরা বেশিরভাগ লোকে'ই তরমুজের টাকা পায়নি। 
মেজর হাফিজ চরের সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা জানতে চাইলে চরের সাধারণ মানুষের অভিযোগে জানা যায় যে, দায়িত্বে থাকা বর্তমান নেতাদের দ্বারা অত্যাচারের শিকার চরের সাধারণ মানুষ। 
এরপর, মেজর হাফিজ বলেন, আপনারা যারা তরমুজের টাকা পাবেন আপনারা আগামীকাল পার্টি অফিসে গিয়ে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ করবেন। আপনাদের প্রত্যেকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat