ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিহতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার চালানো এই হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক মেয়ে শিশু ও তার মা রয়েছেন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৬৯ জন।
সোমবারের এই ঘটনায় স্বজন হারানো ব্যক্তিদের জন্য শোক দিবস ঘোষণা করেছেন আঞ্চলিক গভর্নর সের্হি লাইসাক। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ও তার মাসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সোমবার একটি বহুতল ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় আরও ৬৯ জন আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিজের শহর ক্রিভি রিহ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে রাশিয়ান হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। গত জুন মাসে রাশিয়া এই শহরের বেসামরিক ভবনগুলোতে ‘বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ চালালে ১১ জন নিহত এবং আরও ২৮ জন আহত হয়েছিলেন।
তবে সর্বশেষ এই হামলার ঘটনায় আহত কয়েক ডজন লোককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে যাদের বয়স ৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। শহরটিতে ছয় লাখ মানুষ বসবাস করেন।
নিজের বেড়ে ওঠা শহর সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, সোমবার ভোরে একজোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শহরের আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে আঘাত হানে। স্থানীয় বাসিন্দারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বহুতল ওই ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার পরও প্রায় ১৫০ জন মানুষ বিস্ফোরণ থেকে অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
টেলিগ্রামে দেওয়া বার্তায় ইউক্রেনের এই নেতা বলেন, হামলার ঘটনার পর ৩৫০ জনেরও বেশি মানুষ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। এছাড়া আঞ্চলিক গভর্নর সের্হি লাইসাক পরে জানান, জরুরি কর্মীরা হামলার শিকার ওই ভবন থেকে আরও ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, রুশ এই হামলায় ‘বহু লোক’ আহত এবং ট্রমার শিকার হয়েছেন। কিন্তু ‘এই সন্ত্রাস আমাদের ভীত করতে পারবে না বা আমাদের দুর্বল করতে পারবে না’ বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..