×
সদ্য প্রাপ্ত:
শেরপুরে মিথ্যা মামলায় জরিয়ে সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের নিন্দা কুমিল্লায় লাঞ্ছিত মুক্তিযোদ্ধা কানু'র আশ্রয় মিললো ফেনীতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান সাতক্ষীরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি নীতিমালা-২০২৪ র্শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করাই ব্যাবসায়িকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ফামের্সীতে মিলল ২ বস্তা নিম্নমানের মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ঠাকুরগাঁওয়ে দুস্থদের মাঝে বিএনপির শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধামরাইয়ের সাবেক মেয়র গোলাম কবির মোল্লা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত রাস্তা- ঘাটও সেতু ৩ মাসেও সংস্কার হয়নি, জনদুর্ভোগ চরমে মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন মোছাঃ ইয়াছমিন খাতুন
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-২২
  • ২০ বার পঠিত
স্বাধীনতার পর থেকে সব ধর্মের মানুষকে সরকারি দলের বাড়াবাড়ির শিকার হতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।


শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিলেটে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।


জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীনতার পরে কোনো সরকারের আমলে বাড়াবাড়ি কোথাও থামেনি। সেই বাড়াবাড়ির শিকার সুনির্দিষ্ট কোনো ধর্মের মানুষ হয়নি। সব ধর্মের মানুষকে এই বাড়াবাড়ির শিকার হতে হয়েছে।


তিনি বলেন, একসময় দেশে ইসলাম ছাড়া যে পরিমাণ ভিন্ন ধর্মের মানুষ ছিলেন, সেই হার এখন আর নেই। ইসলাম ছাড়া ভিন্ন ধর্মের মানুষের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।


ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভিন্ন ধর্মের মানুষ কমে যাওয়ার দুটি কারণ রয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা সম্মানের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্যটি হলো হয়তোবা জন্মের হারে তারা পিছিয়ে রয়েছেন।


বিগত সরকারের আমলে জামায়াত ইসলামী সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের অফিস বিগত ১৩ বছর সিলগালা ছিল। আমাদের দলকে নির্বাচন কমিশন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই চাপ আর কোনো দল পায়নি।


শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশে দখলদারি-চাঁদাবাজি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। শুধু ফ্ল্যাগ বদল হয়েছে; ডান হাত থেকে বাম হাতে গেছে।


জামায়াত আমির বলেন, আমরা কোনো দায়িত্ব পেলে মালিক হিসেবে নয়, পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো। আমাদের নেতাকর্মীদের আগে যে সম্পদ থাকবে, নির্বাচনের পরেও সমান থাকবে। নিজের দিকে না তাকিয়ে জনগণের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের কর্মীদের স্পষ্ট বলা হয়েছে, কারও সম্পদের দিকে তাকানো যাবে না। যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে আমরা ব্যবস্থা নেবো।


তিনি আরও বলেন, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘিষ্ঠ মানি না। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। ছোট্ট একটা দেশ আমাদের। আমরা শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধির মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।


সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরের আমির ফখরুল ইসলাম, সিলেট ইসকনের স্বামী চন্দ্র মহানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মৃতঞ্জয় ধর ভোলা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেটের সভাপতি গুপিশ্যাম পুরকায়স্থ ও খ্রিস্টান চার্চের সহসভাপতি বিকন নিঝুম।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat