নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) (ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে জিহাদ মাতুব্বর (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলার প্রধান আসামি সিফাত মোল্যা(২৪)-সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
আসামি সিফাত সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের হালিম মোল্লার ছেলে এবং অপর আসামি সজল শেখ (১৯) একই
ইউনিয়নের মৃগী গ্রামের আসাদ শেখের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
(২১ ডিসেম্বর) শনিবার সকালে র্যাব-১০ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে ওয়াজ মাহফিল থেকে শিশু শিক্ষার্থী জিহাদকে ধরে নিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে মাধবপুর একটি কবরস্থানে জ্যান্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের একটি দল।
জিহাদ একই উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বড় মাধবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাক মাতুব্বরের ছেলে ও কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
শিশুটিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে ভিডিওতে মাটি খোঁড়ার দৃশ্যসহ নির্মমতার দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘটনার পরেরদিন ৮ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীর বাবা কোতয়ালী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর থেকে র্যাব আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
ফরিদপুর র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক ও সিনিয়র পুলিশ সুপার তাপস তাপস কর্মকার জানান, শিশুকে জ্যান্ত কবরের ঘটনায় মামলা হলে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১ এর সহযোগিতায় গাজীপুরের সফিপুর এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিক্ষার্থীকে জ্যান্ত কবর দিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১০ ডিসেম্বর দুপুরে বিচারের দাবিতে ফরিদপুর শহরের আলীপুর সড়কের একটি পত্রিকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনার একটি ভিডিও বিভিন্ন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এরপর থেকেই প্রশাসন আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে।
এ জাতীয় আরো খবর..