×
সদ্য প্রাপ্ত:
বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের নামে কোনো রকম কোনো কম্প্রোমাইজ করবে না-হাজী ইয়াসিন ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নজিরবিহীন রেকর্ড, ছাড়িয়েছে ৩০০ সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নজিরবিহীন রেকর্ড, ছাড়িয়েছে ৩০০ কাপ্তাই সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং শিশু নিকেতনে বিজয় দিবসের প্রস্তুতি কুমিল্লা মেঘনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও টাকাসহ আটক-৫ শেরপুরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিএনপির বিক্ষোভ শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা খুলনা ঢাকা পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প জনবল সংকটে এখনই শুরু হচ্ছে না ট্রেন যাত্রা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-০৪
  • ৬ বার পঠিত
মোঃ মোরসালিন আহমেদ মুসা, গৌরীপুর প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের সিধলং বিলের ইজারা নিয়ে সভাপতি ও সহ-সভাপতির দ্বন্দ্বের জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে মাছ ধরার হিরিক পড়েছে। বাংলা ১৪২৯ থেকে ১৪৩১ পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য সিধলা একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ-সভাপতি মোঃ আল-আমিন ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিলটি সরকারিভাবে ইজারা নেন। সমিতির সভাপতি আবু বক্করও বিলটির ইজারার জন্য আবেদন করেছিলেন, তবে ইজারা পান সহ-সভাপতি আল-আমিন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।

ইজারাদার মোঃ আল-আমিন বলেন, “আড়াই বছর আগে সরকারিভাবে বিলটির ইজারা নিই। সভাপতি আবু বক্করও বিলটি পেতে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু পাননি। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। বিভিন্ন সময় কিছু জেলেকে ব্যবহার করে রাতের আঁধারে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ ৫ই আগস্ট গণবিপ্লবের পর থেকে বিলটি আর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি। আবু বক্কর তার দলবল নিয়ে মাছ ধরতে শুরু করলে পরে সাধারণ মানুষও ব্যাপকভাবে বিলটি দখল করে ফেলে। আমি বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

অন্যদিকে, সভাপতি আবু বক্কর বলেন, “ইজারার পর সমিতির ২১ জন সদস্য মিলে বিলের রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করি। প্রথম বছরের খাজনা বাবদ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে আমি নিজে দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাইনি, এবং বিলের আয় থেকেও কোনো সদস্য লাভবান হয়নি। সহ-সভাপতি আল-আমিন সব অর্থ আত্মসাৎ করেছে। বিগত এক থেকে দেড় বছর ধরে সে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাকে তাড়া করেছে। আমি কয়েকবার থানায় অভিযোগ করেছি এবং সর্বশেষ সেনাবাহিনীর কাছেও অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমার উপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে, আমি কোনো আক্রমণ করিনি।”

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাকিল আহমেদ জানান, “অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা আবারও দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে এবং তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।”

স্থানীয়রা মনে করছেন, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat