×
সদ্য প্রাপ্ত:
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-০৩
  • ১১ বার পঠিত
মজিদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
চলতি রবি মৌসুমের শুরুতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিএডিসি ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। বিশেষ করে ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। 

বড়বাড়ী ইউনিয়ন বিএডিসি ডিলার মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রমজান আলী ও মাহবুবুর রহমানের প্রতিষ্ঠানে তিনদিন ঘুড়েও পাইনি এক বস্তা সার। এমন অভিযোগ বড়বাড়ী গ্রামের কৃষক ফারাজুল ইসলামের। 

কৃষকদের অভিযোগ, ডিলাররা কৃষকদের কাছে সার বিক্রি না করে অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। পরে সেই সার খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কৃষকদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এর পরও চাহিদামতো সার পাচ্ছেন না কৃষকেরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি তাদের।

সোমবার ২ ডিসেম্বর সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীরা টিএসপি প্রতি কেজি ২৭ টাকা, প্রতি বস্তা- ১৩৫০ টাকা, এমও.পি প্রতি কেজি ২০ টাকা, প্রতি বস্তা- ১ হাজার টাকা, ডি. এ. পি প্রতি কেজি ২১ টাকা, প্রতি বস্তা ১০৫০ টাকা। 

প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখলেও সে অনুযায়ী বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি বস্তা সার সরকারি মূল্যের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন। কৃষক সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বলেন।

কৃষকের দাবী দাম বেশি দিলেই সার পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিক্রেতারা কৃষকদের কোনো সঠিক বিক্রয় রসিদ দেয় না। কৃষকদের বেশি দাম দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে। ডিলার/খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তারা এভাবে জিম্মি হয়ে পডছে। সরকার অনুমোদিত এসব ডিলার/সাব-ডিলাররা সরকারি নির্দেশনা না মানায়  কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা, এতে বাড়ছে কৃষি উৎপাদন খরচ।

উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের রুপগঞ্জ কাশিডাঙ্গা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ফারাজুল ইসলাম বলেন, বড়বাড়ী ইউনিয়ন বিএডিসি ডিলার মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী রমজান আলী ও মাহবুবুর রহমানের দোকান ও বিতরণ পয়েন্টে তিন দিন ঘুড়েও পাইনি এক বস্তা টিএসপি সার। এমন অভিযোগ বড়বাড়ীর আরও অনেক কৃষকের।

বড়বাড়ী ডিমাবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে আলু, গম ও ভুট্টার চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ সময় টিএসপি, বিওপি ও এমওপি সার সংকট দেখা দিয়েছে। দামের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিলেই সার মিলছে। বিএডিসি ডিলার ভাই ভাই ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রমজান আলীর কাছে গেলে তিনি বলেন, সার নেই। চলতি মাসের বরাদ্দকৃত যে সার তুলেছিলাম, তা এলাকার প্রান্তিক চাষীদের স্লীপের মাধ্যমে বিতরণ করেছি।

এ বিষয়ে ডিলার রমজান আলী জানান, চলতি মাসে বরাদ্দ পেয়েছি,  টিএসপি ৮ মেট্রিক টন, ডিএপি ৩২.২৫ ও এমওপি পেয়েছি ১২.২৫ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় বাজারে সারের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। যদিও আমি আমার বড় ভাই মাহবুবুর রহমানের লাইসেন্স বার্ষিক চুক্তিতে চালাই, তাতেও সামলাতে পারছিনা। 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখন সারের কোনো ঘাটতি নেই। স্যারের বাজার ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক চাষীদের মাঝে বিতরণ বিষয়ে গতকাল মিটিং করা হয়েছে। এর পরও কোথাও কোথাও সংকটের অজুহাতে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেব নাথ বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। কৃত্রিম সার সংকটের কোনো সুযোগ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat