খন্দকার মোহাম্মাদ আলী বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই খন্দকার পাড়ার গৃহবধু শিখা আখতারের চাচা শুশুরের সাথে পারিবারিক কলহের কারণে ফাঁস করলেন গোপন তথ্য। বসতবাড়ি নিয়ে বিরোধের অভিযোগ দিলেন থানায়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য গোপনে ভয়ভীতি দেখালেন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তামাই খন্দকার পাড়ার মো: আইয়ুব খন্দকারের স্ত্রী শিখা আখতার(৩২) দীর্ঘদিন থেকে বসত বাড়ি জায়গায় নিয়ে তার চাচা শুশুর উপজেলার ৩নং ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফজলুল হক ভাষানী ও তার স্ত্রী পুত্র কন্যাদের নিয়ে বিভিন্ন সময় নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করে মারপিট মানসিক নির্যাতন বাড়ির গেট বন্ধ করে রাখা ও শিশু সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে ।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বারবার জানিয়েও সমাধান না পেয়ে গত ২৭ই নভেম্বর বেলকুচি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শিখা আখতার।
উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেলকুচি থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরেজমিনে বাদী ও বিবাদীদের বসত বাড়িতে আসেন এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলে যান পুলিশ । এরপর থেকে বাদী শিখা আখতারের উপর নানাভাবে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ভাষানী কৌশলে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য তদবীর চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
বিষয়টি পারিবারিক কলহের কারণে হলেও শিখা আখতার টাকার বিষয়ে বলে দেওয়ায় গোপন তথ্য ফাঁসের বিষয়ে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে হাতে পৌছেছে। জানাযায় গত ৫ আগষ্ট আওয়ামিলীগ সরকার পতনের রাতে তিন বস্তা টাকা সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ভাষানী তার নিজ বাসভবনের পাশে মাটিতে পুতে রাখার সময় শিখা দেখে ফেলায় তাকে নিষেধ করে কাউকে না বলার জন্য। পরবর্তীতে বিষয়টি ফজলুল হক ভাষানীর সন্দেহ হয় কাউকে বলে দিয়েছি কি না, যদি ও কাউকে বলিনি সেই বিষয়টি নিয়েই আমার সাথে বার বার চাপ সৃষ্টি করতে থাকে যেন কাউকে না বলি। অনেক অত্যাচারের পর আমার জানের নিরাপত্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে বলতে হলো কারণ আমাকে যেকোনো মুহুর্তে মেরে ফেলতে পারে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আপনারা আমাকে ন্যায় বিচার দেন।
এলাকা সূত্রে জানাযায়, ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ভাষানী চেয়ারম্যানের কার্যক্রম থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন মসজিদ কবরস্থানসহ পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করে কোনো ব্যাংক বা নিকট আত্নীয় কাছে না রেখে বস্তায় ভরে সেই টাকা মাটির নিচে পুতে রাখে। অবশেষে বিষয়টি তাদের পারিবারিক কলহের জেরে বেরিয়ে এলো ।চেয়ারম্যানের অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকার গোপনে লুকিয়ে রাখা বিষয়টি তদন্ত করা জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানান এলাকার সচেতন মহল । বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ভাষানীর সাথে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে না পাওয়ায় তার সহযোগীদের মাধ্যমে পারিবারিক কলহের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে এবং গোপনে মিমাংসার জন্য বাদী শিখা আকতারের সাথে গোপন তথ্য ফাঁসের উল্লেখ্য তিন বস্তা টাকার ব্যপারে গোপনীয়তার মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানাযায়।
এব্যাপারে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জাকেরিয়া জানান, শিখা আখতারের বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তিন বস্তা টাকার বিষয়টি এখনো আমাদেরকে অবহিত করেনি কেউ। যদি এমন কোনো কিছু ঘটে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..