×
সদ্য প্রাপ্ত:
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-৩০
  • ৩৩ বার পঠিত
রোকন বিশ্বাস-পাবনা প্রতিনিধিঃ
গ্রামগঞ্জ থেকে শহর পর্যন্ত দেখা যায় ঔষধের দোকানপাট,এতে সব সময় সকল প্রকার ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে।সাধারণ জনগনের ঔষধ ক্রয়ের ভোগান্তি কমছে বলে মনে করেন ঔষধ বিক্রেতারা।সরেজমিনে ঔষধ বিক্রেতাদের কিছু অনিয়মের চিত্র ধরা পরে পাবনা জেলাতে।চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় কিছু ঔষধ বিক্রেতা আছে যে সকল ঔষধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি নিষেধ সেই সকল ঔষধ চাওয়ার সাথে সাথেই পাওয়া যাচ্ছে ঔষধ বিক্রেতাদের কাছ থেকে।প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঐ দোকানীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ঘুমের ঔষধ একটি চেয়েছে তাই দিয়েছি।প্রশ্ন উঠেছে এই ঘুমের ঔষধ খাওয়ার পরে যদি কোন প্রকার ক্ষতি হয় তাহলে এর দায়িত্ব কে নিবে এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে অস্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন সাংবাদিকদের কাছে।

সোনালী ব্যাংকের সামনে ঔষধের দোকান ইজী ফার্মার মালিকের কাছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ট্যাবলেট,অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা ধরনের ঔষধ চাইলে তিনি প্রেসক্রিপশন চেয়ে বসে।এদিকে বিভিন্ন তালবাহানা দেখালে তিনি বলেন,প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রয় করি না।আপনি প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসেন ঔষধ দিবো।কোন প্রকার আকুতি কাকুতিতে তিনি ঔষধ দেন না।এথেকে বোঝা যায় তিনি স্বার্থের নেশায় নয় জনগনের স্বার্থে সেবামূলক ব্যবসা করছেন বৈধতার সহিত।শহর অঞ্চলে আরো কিছু কিছু দোকানী আছে যারা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ধরনের ঔষধ বিক্রয় করছেন,যা টাকায় সবই হয় তাদের মাধ্যমে।

ইশ্বরদীত,আটঘরিয়াতে একটি ঔষধ বিক্রেতা তার অতি পরিচিত  মুখ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ চাওয়ার সাথে সাথেই 
দিয়ে দিচ্ছে কোন কিছুই দেখার প্রয়োজন মনে করে নাই।ক্রেতা ঔষধ নিয়ে যাওয়ার পরপরই দোকানিকে প্রশ্ন করা হলো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই আপনি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রয় করলেন কারণ কি?বিক্রেতা জানান,আমার পরিচিত মুখ তাই দিলাম।তার ঔষধ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আছে এই জন্য দিয়েছি।এই ঔষধ সেবনে যদি তার কোন প্রকার ক্ষতি হয় তাহলে এরই বা দায়িত্ব কে নিবে আপনি না কি ঔষধ ক্রেতা এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেলে বিক্রেতা?
এইভাবে পাবনার প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারের ঔষধের ফার্মেসীতেও দেখা যায় একই চিহ্ন।আবার কিছু কিছু দোকানী এই সকল ঔষধ বিক্রয় করছে পরিচিত ব্যক্তিদের মাঝে হয়তো প্রথমবার প্রেসক্রিপশন দেখিয়েছিলো কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সময়ের ঔষধ নিতে পারে নাই দ্বিতীয়বার নিতে আসছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া সেই ক্ষেত্রে তারাও এই ভাবে বিক্রয় করছে।

এদিকে আবার কিছু কিছু দোকানিরা প্রথম ধাপেই অপরিচিত মানুষ যদি ঘুমের ঔষধ নিতে চায় তখন দোকানিরা প্রেসক্রিপশন চেয়ে বসে কিছু সময় আকুতি মিনতি করলে অতিরিক্ত টাকা চেয়ে থাকে ক্রেতা রাজী থাকলে বিক্রয় করছে।এইভাবে চলছে ফার্মেসীদের ঔষধ ব্যবসা।এই ব্যবসায়ীকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বেশি ঔষধ দেই না মাত্র পাঁচ পিছ চেয়েছে।তার কাছে ঔষধ এর নাম জানতে চাইলে তিনি সহজেই বলে দেন মাইল্যাম ঘুমের ট্যাবলেট।

ঘুমের ঔষধসহ কিছু কিছু ঔষধ আছে এই গুলো ক্রয় করে এক সাথে মিশ্রণ করে সেবন করছে বর্তমান সময়ের আলোচিত যুবকরা এতে মাত্রাতিরিক্ত নেশায় নিজেকে ফেলছে।বিশেষ করে ফেন্সিডেলের দাম বৃদ্ধির জন্য এখন বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করছে এক শ্রেনীর যুব সমাজ।এতে ঔষধ বিক্রেতাদের মূলেই টাকা,কিন্তু প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ নিয়ে কি করছে এটার বোঝার কোন তাগিদ নেই,এতে অতিরিক্ত টাকা হলেই মিলছে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এ সকল ঔষধ।

সচেতন নাগরিকদের দাবি জানান,অ্যান্টিবায়োটিক,মাইল্যাম,ফেনারগান,সি-ড্রিল,ডায়াড্রিলসহ নানা ধরনের ঔষধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বেশি দামে বিক্রয় করছে।ঔষধ প্রশাসন এ বিষয় গুলো খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে হুমরি খেয়ে পরবে।এদিকে যখন ইয়াবা,হেরোইন,ফেন্সিডিলের দাম বেশি হচ্ছে তখনি বিকল্প ব্যবস্থা ঔষধ দিয়েই নেশায় করছে যুবক যুবতীরা।অতিরিক্ত লাভের আশায় প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যে সকল ঔষধ দেওয়া নিষিদ্ধ সেই গুলো দিচ্ছে তাদের হাতে তুলে,তাহলে ইয়াবাই বিক্রয় করা তাদের ভালো কারণ মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না,কিন্তু এরা ড্রাগ বিক্রয়ের লাইসেন্স নিয়ে যদি এই সকল ঔষধ বিক্রয় করে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এবং অতিরিক্ত টাকার জন্য তাহলে বলা যায় ড্রাগ ব্যবসার লাইসেন্স নিয়ে বিকল্পধারায় নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় করছে।এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক ধ্বংস করছে অন্যদিকে ঔষধের মাধ্যমে মাদক সেবনের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করে নেশায় আসক্ত হচ্ছে এদেশের যুবক সমাজ।সকল কিছু বিশেষ বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি খুব দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং কোন ঔষধ বিক্রেতা প্রেসক্রিপশন ছাড়া যেন ঔষধ বিক্রয় না করে এদিকে নজরদারী জোড়ালো করা হোক।
কাউকে হেয়-প্রতিপন্ন করাই মূল উদ্দেশ্য নয়,জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধিই আমাদের লক্ষ্য।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat