মোঃ ইসমাইল হোসেন ( খুলনা )
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন দিনারাবাদ ২ নাম্বার লেন এলাকা হতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায়কারী চক্রের চার সদস্য বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গ্রেফতার হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দের পর পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার সাথে সন্ধ্যা মজুমদার সুপ্রিয়া (২২) নামে এক নারী ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। আস্তে-আস্তে তারা হৃদয় ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর সূত্র ধরে ঘনিষ্টভাবে সময় কাটানোর প্রলোভনে বুধবার বিকেলে দিনারাবাদ লেনের জনৈক কবীরের ভাড়া বাসায় ওই প্রেমিকা তার প্রেমিককে ডেকে আনেন। এরপর সেখানে অবস্থানরত সুপ্রিয়ার স্বামী সঞ্জয় ঢালী (২৭), এবং ওই চক্রের সদস্য লিপিকা ঘরামী (১৯) ও ইন্দ্রানী পান্ডে (২৪) ফাঁদে পা দেয়া সরকারি কর্মকর্তাকে ঘরে আটকে ফেলেন। তারা তাকে জিম্মি করে এক নারীর সাথে অশ্লীল অবস্থায় ছবি তুলত বাধ্য করেন। এরপর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তখন ওই প্রেমিক ব্যক্তি তার বাবাকে ফোন করে ৭০ হাজার টাকা দুবৃত্ব চক্রের কাছে মুক্তিপন পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। চক্রের সদস্যরা ওই টাকা নেয়ার পাশাপাশি তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে তাকে রাতে ছেড়ে দেন। মুক্তি পেয়ে ভুক্তভোগী অপহরণ, মুক্তিপন আদায়, পর্ণোগ্রাফী আইনেসহ দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম বলেন, মামলা নথিভুক্তির পর আট ঘন্টার অভিযানে ওই বাসা সংলগ্ন গলির মুখ হতে তিন জনকে এবং ঘর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা কতদিন ধরে এভাবে অপরাধ করছে? চক্রের অন্য সদস্য কারা? হাতিয়ে নেয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায়? এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে উদ্ধার-গ্রেফতারের চেষ্টায় আসামিদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রিমান্ড আবেদন আদালতে পৌছে পারেনি বলে কোর্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, থানা পুলিশ চার আসামিকে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছেন। এরপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাকিবুল ইসলাম তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন
এ জাতীয় আরো খবর..