এমরান হোসেন, লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চরশাহী ইউনিয়নে প্রবাসী আবুল বাসারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রবাসীর নির্মানাধীন কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৫জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন প্রবাসী আবুল বাসার।
তিনি চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাট নুরুল ইসলাম হাজী বাড়ীর মৃত হাফিজ উল্যার ছেলে ও সৌদি আরব প্রবাসী।
অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন দিঘলী ইউনিয়নের খাগুড়িয়া গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে। তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা যায়।
জানা যায়, চর শাহী ইউনিয়নের বসুর হাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রবাসী মো. আবুল বাসার ২০১৫ সালে ইকবাল হোসেন এর কাছ থেকে ২৩ শতক জমি খরিদ করেন। সে জমিতে বালু দিয়ে ভরাট এবং ডিজিটাল সার্ভে ও সয়েল টেস্ট করণের কাজ করাচ্ছেন আবুল বাসার। মঙ্গলবার সকালে উক্ত জমিতে কাজের অগ্রগতি দেখে আসার পথে মোটরসাইকেল যোগে এসে প্রবাসী আবুল বাসারের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন স্থানীয় ইসমাইল হোসেন। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে প্রবাসী আবুল বাসারকে কাজ করতে দিবেনা ও তাকে হত্যার হুমকি দেন অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন।
প্রবাসী আবুল বাসার অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমিতে বালু ভরাটের কাজ চলছে। আজ সকালে ইসমাইল হোসেন এসে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকি দমকি প্রদান করে সে। একপর্যায়ে সার ব্যবসায়ী আবুল কালাম, বরকত উল্যা, ফল ব্যবসায়ী মাসুদ, চা দোকানদার মমিন উল্যাসহ বাজারের প্রায় শতাধিক লোকজনের সামনে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের কাছে বিচার কামনা করি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আবুল বাসার আমার জমি দখল করছে, তার কাছে জমির কাগজপত্র চাইলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে উঠে। পরে হট্টগোলে এলাকাবাসী জড়ো হয়। আমি তার কাছে কোন চাঁদা দাবি করি নি।
চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রাজু বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায় নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, প্রবাসী আবুল বাসার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের জন্য বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..