নিজস্ব প্রতিবেদক : মাহাবুবুল ইসলাম আবির
নারায়ণগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় জমির মৌজার মধ্যে গোপচর মৌজায় সরকারী গড় মূল্য প্রতি শতাংশে ৫৯,৭৫১ টাকা যার রেজিস্ট্রি ফিস পূর্বে ব্যাংকে পেঅর্ডার করতে হতো ৬৮৭১/- টাকা অথচ এনবিআরের একটি আদেশ বলে যা এখন ব্যাংকে পেঅর্ডার করতে হচ্ছে ৬৩,৮৯২/- টাকা অথচ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন অন্য মৌজায় অর্থাৎ আটি মৌজায় যেখানে প্রায় ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ্য) টাকা জমির মূল্য হলে ৬% হারে উৎসহকার এবং বাকী কর আগের মতই বহাল সে হিসাবে ৪৫,০০০+৬০,০০০ = ১,০৫,০০০/- (এক লক্ষ্য পাঁচ হাজার) টাকা অথচ গোপচর মৌজায় ৫৯,৭৫১/- সরকারী গড় মূলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হচ্ছে ৬৩,৮৯২/- টাকা অথচ ১০,০০,০০০/- সরকারী গড় মুলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হচ্ছে ১,০৫,০০০/- এখানে গরীব কৃষি অতি সাধারন মানুষের জমি ক্রয় বিক্রয় বন্ধের পথে ঠিক একই অবস্থা বক্তাবলী ইউনিয়নের মধ্যে মীরগঞ্জ নাল জমি ১০,৮০০ টাকা যার মধ্যে রেজস্ট্রি খরচ ব্যাংকে পেঅর্ডার করতে হয় রেজিস্ট্রি ফিস হিসাবে ৩০,৮৯৭ টাকা যা পূর্বে ছিলো ১২৪২ টাকা।
যার কারণে ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্ধর, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাওঁ থানাধীন এলাকাতে কম মূলের জমি রেজিস্ট্রি বন্ধের পথে এমতাবস্থায় জমি রেজিস্ট্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা- বিক্রেতারা। এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। জরুরি প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে না পারায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারন মানুষ এখন বিগত কয়েকমাস হচ্ছে বৈশাম্য শিকার হচ্ছে তারা বর্তমান সরকারের কাছে প্রত্যাশার মধ্যে অন্যতম আবদার সাধারন মানুষকে বাচাতে সাহায্য করুন। বেকার হয়ে পড়েছেন দলিল লেখক এবং এরসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
নিবন্ধন ফি বেড়ে যাওয়ায় নিবন্ধনের সংখ্যাও কমে গেছে। সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে আগের মতো ভিড়ও নেই। অলস সময় কাটাচ্ছেন দলিল লেখকরা। একাধিক রেজিস্ট্রি অফিসের উমেদার ও নকলনবীশরা জানিয়েছেন, নতুন সিদ্ধান্তে কর কমেছে মনে হলেও বাস্তবে অধিকাংশ জমির নিবন্ধন কর বেড়েছে। জাতীয় সংসদে গত ২০ জুন নতুন আয়কর আইন পাসের পর জমি ও ফ্ল্যাটের উৎসে কর দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর পর থেকেই ধস নামে জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধনে। এ খাতে রাজস্ব আয়ে ভাটা এবং সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে ৩ অক্টোবর নিবন্ধন কর পুনর্নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগে সব ধরনের জমি নিবন্ধনে একই কর হার ছিল। পুনর্নির্ধারিত হারে মৌজার অবস্থান অনুযায়ী জমিকে পাঁচ শ্রেণিতে বিভক্ত করে কর ধার্য করা হয়েছে। এনবিআরের দাবি, এতে স্থানভেদে কাঠাপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর কমেছে। তবে প্রকৃত চিত্র পুরো উল্টো। এক-দুটি শ্রেণিতে কর কমলেও বাকিগুলোতে উল্টো বেড়েছে। উপজেলা পর্যায়ে নিবন্ধন খরচ বেশি বেড়েছে। গ্রামের মানুষ খুবই বিপাকে পড়েছেন।
বর্তমানে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য রেজিস্ট্রি খরচ বিরাট বাধা হয়ে আছে। যা প্রত্যাহার করিলে রাজস্ব খাতে বড় অবদান ভূমিকা রাখতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটা অফিস। উৎস করের কারনে ভুক্তভোগীরা জমির দলিল করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ।