মহেশখালী প্রতিনিধি ::
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রজেক্ট ফান্ডিং পেলো মহেশখালীর সন্তান মোঃ আকিল খানের কোস্টাল ভয়েসেস টিম। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত 'টেকক্যাম্প বাংলাদেশ ২০২৪' এর ফান্ডিং বিজয়ী মোট চারটি টিমের মধ্যে মোঃ আকিল খানের টিম কোস্টাল ভয়েসেস অন্যতম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তরুণ সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশে সঠিক তথ্য ও মিডিয়া সাক্ষরতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো টেকক্যাম্পের আয়োজন করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট, টেকক্যাম্প গ্লোবাল ও গ্লোবাল ইউথ লিডারশীপ সেন্টারের সহযোগিতায় 'টেকক্যাম্প বাংলাদেশ ২০২৪' আয়োজিত হয়। এই টেকক্যাম্পের মটো ছিলো "টেকক্যাম্প: সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন, সত্য নিশ্চিতকরণ"। এই প্রোগ্রামে মোট ৫০ জন অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকতায় মিডিয়া লিটারেসি, ফ্যাক্ট-চেকিং, সাইবার সিকিউরিটি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিখেছেন। পরবর্তীতে, তারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে দেশের সাংবাদিকতা ও মিডিয়া লিটারেসির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট ডিজাইন ও উপস্থাপন করেন। এইসব প্রজেক্টের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে সর্বমোট চারটি প্রজেক্টকে ফান্ডিং প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
মহেশখালীর সন্তান মোঃ আকিল খান কোস্টাল ভয়েসেসের অন্যতম সদস্য। এছাড়াও, তার টিমে আরও তিনজন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উসামা রাফিদ ও ফারহান সাকিব আলভি। মোঃ আকিল খান মহেশখালী পৌরসভা নিবাসী ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম খানের সন্তান। তিনি বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের স্নাতক চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। এছাড়াও, তিনি ফ্যাক্টচেক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্ট চেকার হিসেবে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য যে, কোস্টাল ভয়েসেস আগামী ছয়মাস এই প্রজেক্টটি বাস্তবায়নের জন্য ৪৯২০ ইউএস ডলার ফান্ড পায়। এই প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য হল খুলনার উপকূলীয় এলাকার সাংবাদিকদের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সাংবাদিকতায় ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি তাদের মিডিয়া লিটারেসি বৃদ্ধি করা। একই সাথে মেইনস্ট্রিম সংবাদ মাধ্যম ও উপকূলীয় অঞ্চলের সাংবাদিকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করবে কোস্টাল ভয়েসেস। এরই ধারাবাহিকতায়, উপকূলীয় অঞ্চলের ট্রেইনড সাংবাদিকদের একটি স্ট্রং কমিউনিটি তৈরিতে সাহায্য করবে এই প্রজেক্ট। এছাড়াও, সাংবাদিকদের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক রিপোর্টিংয়ের জন্য ফান্ডিং দেয়া হবে এবং তাদের জন্য একটি ডেডিকেটেড প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে বলে জানা যায়।
এ জাতীয় আরো খবর..