সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ এসআই আসাদুজ্জামান এবং এসআই মো: বাবলু মিয়া লাশটি উদ্ধার কএর আগে রোববার দিবাগত রাত দেড়টার সময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওয়াসী ভবনের ৫ম তলায় রংধনু আবাসিক হোটেলটির ৫২৬ নম্বর রুমে রাত্রিযাপন করতে ওঠেন তারা।
হোটেলটির ম্যানেজার ওয়াসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে হোটেলের ৫২৬ নম্বর রুমটি পরিষ্কারের জন্য আয়া রুমে গেলে রুমটি ভেতর থেকে বন্ধ পান। এরপর অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এরপর আয়া ম্যানেজারসহ মালিকপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন।
পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ বেলা সাড়ে ১২টায় রুমটির দরজায় প্রবেশ করলে তারা দেখতে পান ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রথমে চেপে যান, পরে অবস্থা বেগতিক দেখে সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী যারা হোটেলে রুম বুকিং নেবেন তাদের সবার পরিচয়পত্রসহ নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ বাধ্যতামূলক; কিন্তু সেটি না করে তাদের দুজনকে রুমটি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
হোটেলে ম্যানেজার ওয়াসিমের কাছে দম্পতি পরিচয়ে আসা দুজনের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে নিহত নারীর পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে স্বামী পরিচয়ে আসা ব্যক্তির নাম রুবেল হোসেন বলে জানান। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মত্ত এলাকায়। তবে তাদের কাছ থেকে রাখা হয়নি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার বলেন, নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে স্বামী পরিচয় দেওয়া রুবেলকে খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।রে।
এ জাতীয় আরো খবর..