×
সদ্য প্রাপ্ত:
নীলফামারীতে বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা ১৫.৪ ডিগ্রি কিশোরগঞ্জের ভৈরব একই পরিবারের ৪জনের লাশ উদ্ধার ইজি বাইক ও ভ্যান গাড়ীর দখলে কিশোরগঞ্জ শহর কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ ভারতীয় নাগরিক আটক পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে হামলাকারীরা ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় শুরু হয়েছে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও উপকার পাচ্ছে না পদ্মাচরের জনগন ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে পালালেন স্ত্রী চাটমোহরে ইউপি সদস্যকে হামলার চেষ্টা: অস্ত্র সহ আটক ৩ খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-২৬
  • ৯ বার পঠিত
মোঃ হাসান শিকদার, বিশেষ প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ 
মানিকগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে অসংখ্য নদী,  জেলার হরিরামপুর, শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলাগুলো পদ্মা ও যমুনা  নদী তীরবর্তী এলাকা  ও নদীর ভেতর চরঅঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। উপজেলা গুলোর  মধ্যে নদী ভাঙ্গনের ফলে  অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা হচ্ছে হরিরামপুর।    হরিরামপুর উপজেলার বিচ্ছিন্ন পদ্মার চরাঞ্চল আজিমনগর, সুতালড়ী ও লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন। উল্লেখিত তিনটি ইউনিয়নে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের বাস। তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। চরবাসীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাতবছর আগে একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কাজে আসেনি চরবাসীর। ব্যবহার না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি।

স্থানীয় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপকূলীয় দুর্গত এলাকার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি বেইসড হেলথ কেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হরিরামপুরসহ ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া হয় একটি করে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স। বরাদ্দের পর এ পর্যন্ত একজন রোগীও পরিবহন করা হয়নি। ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন অচল। বর্তমানে উপজেলার আন্ধারমানিক ঘাটে পড়ে নষ্ট হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সটি।

সরজমিনে মুঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্ধারমানিক ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ঘাটে  পড়ে রয়েছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি। সামনের গ্লাস ও মেশিনপত্র ভাঙা। ভেতরে রোগীর শোয়ার এবং রোগীর স্বজনদের বসার সীট নেই। ভেতরে পানি, শ্যাওলা ও কাঁদায় নোংরা হয়ে আছে। হালসহ বিভিন্ন জায়গায় মরিচা ধরেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা টিপু সুলতান (২৬) জানান , বছরের পর বছর নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। চরাঞ্চলবাসীর কোনো কাজেই আসেনি নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি। চরাঞ্চলের লোকজন আন্ধারমানিক ও বাহাদুরপুর ঘাটের ট্রলারে পারাপার হয়ে থাকেন। রাতের বেলায় কারও চিকিৎসা বা অন্য জরুরি প্রয়োজনে ঘাটের মাঝিদের ফোন করলে তারাই পার করেন তাদের।

চরাঞ্চলের বাসিন্দা ও সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী  লিটন হোসেন  বলেন, চরাঞ্চলবাসীর জন্য নৌ-অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা চরবাসীর কোনো কাজে আসেনি। এ পর্যন্ত চরাঞ্চলের কোনো রোগী পরিবহন করা হয়নি। বর্তমানে আন্ধারমানিক ঘাটে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি।

আন্ধারমানিক ঘাটের এক ট্রলারচালক বলেন রাত-বিরেতে দরকার হলে চরের লোকজন আমাদের ফোন করলে আমরা তাদের পার করি। নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে আন্ধারমানিক ঘাটে পড়ে আছে। লোকজনের কোনো কাজে আসেনি এটি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এ কে এম রাসেল বলেন, কয়েকদিন হলো আমি এই হাসপাতালে যোগদান করেছি। গতবছরের অক্টোবরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat