এএসএম হারুন
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর পরিবারের এজাহারের ভিত্তিতে সদর থানাধীন লালপোল সংলগ্ন আল হক্ব ইসলামী একাডেমী নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে নারী ও শিশু ধর্ষন মামলা আইনে নুর হোসেন (১৮) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত নুর অত্র মাদ্রাসার পরিচালকের ছেলে সোনগাজী থানা এলাকার মোঃ সাইফুল্লাহ'র ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রটিকে (ছদ্ননাম শাহীন) গত ৮ নভেম্বর মাদ্রাসা থেকে ভুক্তভোগীর মাতাকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, তার ছেলে গুরুতর অসুস্থ এবং ডাক্তার তাকে বাড়ি নিয়ে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর মা খোঁজখবর নেওয়ার জন্য মাদ্রসায় যায় এবং সে মাদ্রাসায় গিয়ে তার ছেলে ভুক্তভোগী শাহীন' কে (ছদ্ননাম) গুরুতর অসুস্থ দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা জানায়।
অসুস্থ ভুক্তভোগী শাহীন (ছদ্ননাম) তার পরিবারকে জানায়, গত ২০ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১ টার দিকে তাকে অভিযুক্ত নুর হোসেন তার বিছানায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এবং একপযার্য়ে জোরপূর্বকভাবে নিজ যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে রাতভর ভুক্তভোগীর সাথে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়।এবং সকালে ভুক্তভোগী তার কক্ষে পাঠিয়ে কাউকে না বলতে নিষেধ করে এবং বললে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত নুর হোসেন পূর্বেও বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীর সাথে এমন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল বলে ভিকটিম ছাত্রটি তার পরিবারকে জানায়।
উক্ত ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মাতা রেহানা আক্তার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় নুর হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার দায়েরের কয়েক ঘন্টার ভিতর আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, লোমহর্ষক এই বলাৎকারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত নুর হোসেনকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করি এবং আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য আদালতে প্রেরণ করেছি।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তের পিতা আল হক্ব ইসলামি একাডমীর পরিচালক মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ'র সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ ও স্বশরীরে মাদ্রাসায় গেলেও তার সাথে কোনোপ্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এএসএম হারুন