রানা আহাম্মেদ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের মৌখিক (ভাইবা) পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে আটকদের পুলিশে দিলে তাদের থানায় নেয়া হয়। চাকরি প্রত্যাশী আটকদের বাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
লিখিত পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা মিল না থাকায় তাদের শনাক্ত করে আটকের কথা জানান নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালযে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। দুপুর ২টা থেকে ২২৬ জনের মৌখিক (ভাইবা) পরীক্ষা শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৬ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগ গাইবান্ধার উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২২ জনের লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সাথে মিল পাওয়া যায়নি। ভাইভাবোর্ডের সামনে তারা স্বীকার করে, তাদের পরিবর্তে প্রক্সি ক্যান্ডিডেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, প্রকৃত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে দেয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির পিছনে বিশাল কোন সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তপূর্বক ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা উদঘাটন করবে মর্মে আশা করা যায়।
এরআগে, শুক্রবার জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ৭২২ জন প্রার্থী অংশ গ্রহণ করে। পরীক্ষার ফলাফলে ২২৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়।
চলতি বছরের গত ২৫ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক ৫৫ টি শূন্য পদ পূরণের নিমিত্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। এতে এইচএসসি ও এসএসসি পাশ করা চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..