বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশাল জেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের বিএনপির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মিন্টু রাজনীতির প্রতিহিংসার একটি কুচক্রী মহলের শিকার হয়ে আসছে। বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হত্যা মামলা সহ অনেক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। হাইব্রিড আওয়ামী ও জামায়াতের নেতা নুরুল আমিনের প্রতিহিংসায় শিকার হয়েছে বিএনপি দুর্দিনের রাজপথের লড়াকু সৈনিক হাবিবুর রহমান মিন্টুকে মামলা হামলা দিয়ে বিতর্কিত করে রেখেছেন।
এলাকায় জায়গা জমি নিয়ে মামলা থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রী মহল জমি দখলের ভূমিদস্যু মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ইউ পির সদস্য আব্দুর রশিদ সরদার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মিন্টুকে পরাজিত করে বিজয়ী তিনি। আর বিএনপি নেতার পরাজয়ের পিছনে কলকাঠি নাড়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা, এমন অভিযোগ বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মিন্টুর।
এ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ইউনিয়ন বিএনপি উত্তপ্ত দলের স্থানীয় রাজনীতি। বিএনপি নেতা মিন্টু বলেন, বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র বহিষ্কৃত নেতা, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও ইউপি সদস্য রশিদ সরদারকে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেছেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আহাম্মদ শাহরিয়ার বাবু পালিয়ে থাকায় (২৫ আগস্ট রোববার) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সমর্থন গৃহীত হয়েছে।
ইউনিয়নের সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের ১৩ জন জনপ্রতিনিধি এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থিত আটজন জনপ্রতিনিধির সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সমালোচিত ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ। তিনি আরো বলেন, নাটকীয়ভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি'র হাইব্রিড নেতা নুরুল আমিন তার কুটকৌশলের কারণে মাত্র চারজন প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছি। জামায়েত সমর্থক নুরুল আমিন বিএনপিতে যোগ দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচিত নেতাকর্মীদের এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেছে নুরুল আমিন । তার ভাই মনিরুজ্জামান প্রথমে যুবলীগ করলেও পরে সুযোগ বুঝে বিএনপিতে যোগদান করেন। আবার বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয় মনিরুজ্জামান ,বিএনপি নেতা মিন্টু আরো বলেন আব্দুর রশিদ সরদার প্রথমে জাতীয় পার্টি করতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় পার্টির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। নানা অপকর্ম ও দখল বাজি সন্ত্রাসের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়েন রশিদ মেম্বার পরে বিএনপিতে যোগ দেন।
এবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কৃত হন রশিদ মেম্বার। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা রশিদ মেম্বার প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ইউনিয়ন বিএনপি'র অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ মেনে নিতে পারেনি। এদিকে ১নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি মোঃ মাহাবুর রহমান বাদশা বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন আওয়ামী লীগ পন্থী ওয়ার্ড জনপ্রতিনিধিদের মামলা হামলা বাঁচাতে মেম্বার আব্দুর রশিদ সরদার কে সমর্থন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ কারণে কড়াপুরে আওয়ামী লীগের সমর্থিত বেশি ভাগ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। যদিও শুরু থেকেই এসব এ পরিকল্পনায় একমত হয়নি ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জহিরুল ইসলাম মিলন।
বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের কথা না শোনায় দুটি মামলার আসামি হয়েছেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মামুন হাওলাদার(সমির) বলেন, জামায়াত থেকে বিএনপিতে এসে নুরুল আমিন কড়াপুর আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করেছে।কড়াপুর রাজনৈতিক অঙ্গনে নুরুল আমিনের কথা না শুনলে সে যে দলেরই হোক না কেন তাকে মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ আগস্ট মেম্বার আব্দুর রশিদ সরদার প্যানেল চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ায় সদর উপজেলায় শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রুনা লায়লা সোনালী, আওয়ামী লীগের নেতা সেলিম হাওলাদার ৭ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রনি বেগম ও ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈম আকন ,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তিন নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান লিটন সহ অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ।স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন আব্দুর রশিদ নির্বাচিত হলেও উপস্থিত সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের এমন কার্যকলাপে হতবাগ স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীরা নিয়ম অনুযায়ী তাদের কোন দায়িত্ব ছিল না।
কিন্তু রহস্যজনক ভাবে বিএনপির সহ-সভাপতি মিন্টুকে পরাজিত করতে এই ষড়যন্ত্র করা হয়। এদিকে সদ্য নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরদার বলেন, আমি ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বরিশাল সদর উপজেলার বিএনপি'র যুগ্ন আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম (সাবু) তিনি বলেন, নুরুল আমিন একসময় জামাতের রাজনীতি করতো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপির রাজনীতির সাথে যোগ দিয়ে ইউনিয়নের পরীক্ষিত নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির স্বীকার করেছে নুরুল আমিন।
এ জাতীয় আরো খবর..