মোঃ মোরসালিন, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিএনপি নেতা এরশাদ আলী খন্দকারকে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, দুই ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং এমপির দুই ব্যক্তিগত সহকারীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে নিহত বিএনপি নেতা এরশাদ আলী খন্দকারের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় এই হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন খান (৭০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি উপজেলার ইয়ারন গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার খানের ছেলে। বেলায়েত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং শনিবার রাতেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নরনায়নপুর গ্রামে বিএনপি নেতা এরশাদ আলী খন্দকারকে দলীয় বিরোধের জের ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
এ মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, শফিকুল ইসলাম শফিক, মাসুদ আলম টিপু, কমল সরকার, হাসান, নূরুল আমিন, আব্দুল কুদ্দুছ বেপারী, মো. খোকন মিয়া, শাহজাহান কবীর, ইসলাম উদ্দিন, সাহজাত হোসেন সাজ্জাত, জাহাঙ্গীর, মোঃ আল উছমান বেপারী, মোঃ রফি বেপারী, রমজান, সজুত খান, লাল মিয়া, ফেরদৌস, এবং উজ্জ্বল।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..