দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রচারনা শেষ করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। টানা দুই সপ্তাহ প্রচার প্রচারনায় সরগরম হয়ে ছিল গ্রাম, পাড়া ও মহল্লা। নিজেদের যোগ্য প্রার্থী দাবী করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে গিয়েছেন তারা। তবে জেনে শুনে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিবেন এমন মন্তব্য রয়েছে সাধারণ ভোটারদের। আগামীকাল শনিবার এ ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে অবাঁধ ও সুষ্ঠ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের।
২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বাবলু’র মৃত্যুতে চেয়াম্যান পদটি শুন্য হওয়ায় আগামীকাল (৯ মার্চ) শনিবার অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচন। তাই নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৪জন প্রার্থীর প্রচার প্রচারনায় সরগরম ছিল নির্বাচনী এলাকা। মাঠ থেকে পুকুর ঘাট অথবা রাস্তা থেকে প্রতিটি বাড়িতে ছুটে গিয়েছেন বা যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নিজেদের যোগ্য দাবি করে ভোট প্রার্থনা করছেন ভোটারদের কাছে।
উপ-নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামিরুল ইসলাম বাবু আনারস প্রতীকে, মো. আব্দুল মান্নান বিশ্বাস রানা ঘোড়া প্রতীকে, মো. ফারুক আলম পান্না মোরসাইকেল প্রতীকে এবং মো. মেহেদী হাসান মাষ্টার চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা প্রত্যেকেই জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
তবে নির্বাচনে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জেনে বুঝে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার ২৫হাজার ৮৪৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ২১২ জন এবং নারী ভোটার ১২ হাজার ৬৩৪ জন। ৯টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাঁধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছেন। ৩জন ম্যাজিষ্ট্রেট. এক প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনছার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তায় থাকবেন।
রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন অবাঁধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিক স্বাভাবিক রাখতে ও ভোটাররা যাতে নির্বিগ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য ৩জন ম্যাজিষ্ট্রেট, এক প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনছার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..