×
সদ্য প্রাপ্ত:
চকরিয়ায় যুবদলের দ্বি বার্ষিকী কাউন্সিল সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত রাঙ্গাবালীতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি চকরিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ১ আরোহী নিহত" মহিপুরে চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে আসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি নেতা ইব্রাহিম ফরিদপুর বিসিসি ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির বরগুনা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় যোগদান ভান্ডারিয়াকে বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষনা রাণীশংকৈলে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনামূলক ক্যাম্পেইনিং পুষ্টি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরন গাইবান্ধায় পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, সৎ মা আটক
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-২৮
  • ২৪ বার পঠিত
সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টার:

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্য মাটির ঘর। আধুনিকতার ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। উন্নত জীবনের আশায় ইট পাথরের পাকা বাসস্থানের পেছনে ছুটছে মানুষ। এতে করে কালের গহবরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের ধারক মাটির ঘর।

একসময় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতেই দেখা মিলত মাটির ঘরের। তবে নগর জীবনের ছোঁয়া লেগেছে এ এলাকার বাসিন্দাদের ওপর।

আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবনমান উন্নয়নে ইট পাথরের বাসস্থান তৈরিতে ব্যস্ত সবাই। মাটির ঘরের জায়গা দখল করে নিয়েছে ইট-পাথরের তৈরি দালান। এতে করে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের মাটির ঘর। কিছুদিন আগেও রূপগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতেই মাটির ঘর চোখে পড়ত। তবে এখন সেসব ঘরের জায়গা দখল করে নিয়েছে দালানকোঠা।

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ মাটির ঘরে বসবাস করে আসছে। মাটির সহজলভ্যতা, প্রয়োজনীয় উপকরণ আর শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় আগের দিনে মানুষ মাটির ঘর বানাতে আগ্রহী ছিল।

এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের সময় লাগত দুই থেকে তিন মাস। কিন্তু বর্তমানে এর চাহিদা না থাকায় কারিগররাও এই পেশা ছেড়ে অন্য অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।

মাটির ঘর শীতের সময় উষ্ণ, আর গরমের সময় শীতল থাকে। তাই মাটির ঘরকে গরিবের এসিও বলা হয়ে থাকে। কাদামাটি দিয়ে দেড় থেকে দুই ফুট চওড়া করে ৮ থেকে ১০ ফিট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে টিনের ছাউনি দিয়ে মাটির ঘর তৈরি করা হতো। যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান ও উৎসব এলেই কাদামাটির প্রলেপের মাধ্যমে গৃহিণীদের হাতের ছোঁয়ায় সেই মাটির ঘরের সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ হয়ে যেত।

মাটির ঘরকে ভেতর ও বাইরে থেকে আরো আকর্ষণীয় করতে আল্পনা আঁকাতেন গৃহিণীরা। কেউবা এই মাটির ঘরে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে আরো মজবুত করে তাতে রং বা চুন লাগিয়ে দৃষ্টিনন্দন করত। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না এটি মাটির ঘর না পাকা দালান বাড়ি।

কাঞ্চন পৌরসভা হাটাবো দক্ষিণ বারুইপাড়া আনারসন বলেন   ৪০ বছর ধরে মাটির ঘরে বসবাস করছি। মাটির ঘরে গরমের সময় গরম লাগে না। শীতের সময় শীত লাগে না। মাটির ঘরে থাকা খুবই আরামদায়ক।

উপজেলার হাটাবো এলাকার মাটির ঘর তৈরির কারিগর আব্দুল বারেক  মিয়া বলেন, একসময় উপজেলায় মাটির ঘরের অনেক কদর ছিল। মাটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে কাদা করে ৩-৪ দিন রেখে আবার সেই মাটিতে পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে আঠালো করে তা দিয়ে ২ থেকে ৩ মাসে ঘর প্রস্তুত করতাম। রূপগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতেই মাটির ঘর ছিল। রুচিশীল মানুষরা এই ঘরে বিভিন্ন নকশা করাতেন

কিন্তু কালের বিবর্তনে এই পরিবেশবান্ধব বাসস্থান এখন আর নতুন করে তৈরি করতে দেখা যায় না। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্য মাটির ঘর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat