নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পন্থায় নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন টুপামারী ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও নতুন কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে চারজন অভিভাবক সদস্য, তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি, একজন দাতা সদস্য ও একজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। শিক্ষার্থীবান্ধব নতুন কমিটি পেয়ে আনন্দিত শিক্ষক, অভিভাবক সহ সকলেই। নতুন কমিটি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদী সকলেই।
সূত্রমতে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চার জন অভিভাবক সদস্য। তারা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, আক্তারুজ্জামান, আব্দুল মজিদ ও মশিউর রহমান। এই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি কমিটিতে প্রদান করেন। গত ৩ মার্চ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সভাপতি নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে ৯টি ভোটের মধ্যে ৭টি ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, ‘ভোটের মাধ্যমে আমাদের পক্ষ থেকে চারজন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত করেছি। যারা অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছে তারা যাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন তাদের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। আশা করছি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে নবগঠিত কমিটি কমিটি।’
নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য আক্তারুজ্জামান বলেন,‘অভিভাবকরা আমাদের নির্বাচিত করেছে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য। গত ৩ মার্চ ভোটের মাধ্যমে আমরা ভোট দিয়ে আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি নির্বাচিত করি। সভাপতি হিসেবে তিনি একজন যোগ্য মানুষ। এছাড়াও আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আমরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গুরুত্ব সহকারে পালন করবো।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন,‘যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়েই নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। সভাপতি যিনি নির্বাচিত হয়েছেন আশা করছি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।’
নব-নির্বাচিত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘অভিভাবক ও শিক্ষকরা আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি সঠিকভাবে পালন করবো। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেসকল কাজ করা প্রয়োজন তা আমি করবো। এছাড়া মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সহ শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে যা করা প্রয়োজন করবো। এতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা বলেন,‘শিক্ষক ও অভিভাবক স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমূখর পরিবেশে অভিভাবক সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো এলাকার মানুষ দেখেছে কিভাবে নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে অভিভাবক, শিক্ষক এলাকাবাসী সহ সবাই খুশি।’
বিদ্যালয়ের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন,‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে সকলে আনন্দিত। একটি বিদ্যালয়ের নির্বাচন এত উৎসবমূখরভাবে হতে পারে এর আগে দেখি নি। এতে সকলেই সহযোগিতা করেছে। অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, দাতা সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ মোট ভোটার নির্বাচিত হয় নয়জন। তাদের নয়টি ভোটের মধ্যে সাতটি ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন আবুল কালাম আজাদ।
এ জাতীয় আরো খবর..