কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর বন্দরে হামলা চালিয়ে ৫ বসত ঘর, ১৫টি দোকান, ১টি মাছের ঘের দখল করে নিয়েছে দুস্কৃতকারীরা। দখলকৃত ঘর-বাড়ি, দোকান ও মাছের ঘের ফিরে পেতে আইনী সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিপুর থানার বিপিনপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম হাওলাদারের পুত্র মো. মনিরুল ইসলাম। এ সময় তার বড় ভাই মো. ইলিয়াছ হাওলাদারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম বলেন, কলাপাড়া উপজেলার সাবেক ৩৪নং জেএল শিববাড়িয়া মৌজা এস এ ১৭২ নং খতিয়ানের জমাজমি হতে ১.৭০ একর জমি খরিদ করে সুদীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর পর্যন্ত বাস্ত-বাগান, পুকুর-পুস্কুনী, ঘর-দরজা, ইমারতাদি নির্মাণ পুনঃনির্মাণ করে পরিবার পরিজনসহ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি এবং জমিতে দোকানপাট তৈরি করে নিজেরা ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছি। এছাড়া কতেক দোকান ঘর এবং ফ্যামিলি বাসা অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে আসছি। বিগত দিয়ারা জরিপে উক্ত জমি ৫৫ নং জে এল শিববাড়িয়া মৌজার বিএস ১২৬৭ নং খতিয়ানে বিএস ৬৮৩/৫৫০৩/৫৫০৪ নং দাগে আমি ও আমার অপর ২ ভাইয়ের নামে ০.৯৪ একর এবং বিএস ৬৪৬ নং খতিয়ানে বিএস ৫৫০৬/৫৫১০ নং দাগে ০.৭৫ একর জমি আমার পিতার নামে শুদ্ধভাবে রেকর্ড হয়। যার সরকারি খাজনা ট্যাক্স হালসন পর্যন্ত আমরা পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, বিগত ০৫/০৮/২০২৪ তারিখ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুবাদে কলাপাড়া উপজেলার ৬নং মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর নিবাসী ১। মো. নজরুল ইসলাম ২। মো. মজিবর রহমান উভয় পিং- বাদল ৩। মো. জামাল ৪। মো. নান্না হাওলাদার উভয় পিং মৃত মমিন উদ্দিন হাওলাদার ৫। মো. সোহেল পিং মো. আলতাফ হাওলাদার ৬। মো. সুমন ৭। মো. শামীম হাওলাদার উভয় পিং মৃত সুলতান হাওলাদার ৮। মো. শাহজাদা পিং মো. খলিল হাং সহ আরও ২০/৩০জন অজ্ঞাত নারী-পুরুষ বেআইনী জনতাবদ্ধে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, দা-ছেনা, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি, লোহার রড ইত্যাদিসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আমাদেরকে শারিরীক নির্যাতনসহ নানা প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শণ করে, ঘর-বাড়ির উপর হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়। দুস্কৃতকারীদের অব্যাহত হামলা ও হুমকিরমুখে আমরা এবং আমাদের ভাড়াটিয়া লোকজন পরিবার পরিজনসহ প্রাণ বাঁচাতে ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হই এবং দুস্কৃতকারীগণ বেআইনীভাবে আমাদের ৫খানা বসত ঘর, ১৫টি দোকান, ১টি মাছের ঘের অন্যায়ভাবে বেদখল করে আছে। তাদের এহেন অমানবিক ও বেআইনী কর্মকান্ডে আমাদের কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়। আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করলেও তারা কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেনা। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ জাতীয় আরো খবর..