×
সদ্য প্রাপ্ত:
হাইওয়ে পুলিশের সামনে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা সরাইলে ৭টি ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটার ধুম বাংলাদেশ গণধিকার পরিষদ এর ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার আহবায়ক কমিটি গঠন চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ ঘন্টার ব্যবধানে ৩ জন নিহত" ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে পরিবর্তনের হাওয়া, সরকার নির্ধারিত ফিতে হচ্ছে দলিল মানিকগঞ্জে মাদক মামলায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম সুজনের জন্মদিন পালন চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তাদের মহাসড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ মা'কে বলেছিলেন নাঈম, বনভোজন শেষে বাড়ি ফিরবো, ফিরেছেন ঠিকই তবে নিথর দেহ হয়ে বাংলাদেশের আরেকটি সম্ভবনাময় বৃহৎ আধুনিক শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব কিশোরগঞ্জের বন্দরনগরী ভৈরবে
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-১৮
  • ১২৫ বার পঠিত
রোকন বিশ্বাস-পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার বেড়ার সাঁথিয়া উপজেলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ও পলাতক বেড়া পৌরমেয়র রঞ্জন এর আগ্রাসনে ক্ষমতার দাপটে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ এমন অভিযোগ উঠেছে নিজ এলাকা থেকে।

সাবেক ডেপুটি স্পিকারের নামে আরো অভিযোগ উঠেছে সাঁথিয়া উপজেলার স্থানীয় আ.লীগেরকর্মী ও নেতাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তার নামে দুদকের একটা ফাইল হয়েছিলো সেই ফাইল কোথায় কেনই বা গায়েব হলো এমন প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি?

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বালি উত্তোলন চাঁদার টাকা সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পত্তির পাহাড় অত্যাচারের হাত থেকে ছাড়া পায়নি নিজ আত্মীয় স্বজনও।

এই বেড়া সাঁথিয়ার আগ্রাসনের মূল কারিগর ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতা বলে ও তার পুত্র রঞ্জন।এদিকে তাদের আগ্রাসন এতই ভয়াবহ হয়েছিল যা সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায় দুইশত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উড়াল দিয়েছিলো বিদেশের বাড়ীতে।এরই ধারাবাহিকতায় আরো প্রশ্ন আসছে জনগনের মনে যদি ছেলে মেয়র হয়ে দুইশত কোটি টাকার কর ফাঁকি দিতে পারে তাহলে সাবেক ডেপুটি স্পিকার কত সম্পদের মালিক হতে পারে এমন প্রশ্ন এখন বেড়াবাসীর।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার পুত্র আসিফ শামস রঞ্জন কিছুদিন নিজেকে আড়াল করে থাকলেও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি তার। সময়ের মধ্যে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জামিন নিয়ে আবারও রামরাজত্বে ফিরে আসেন নিজ ক্ষমতা সম্রাজ্জের আবাসনে।কিছু দিন লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ কিছুটা ফিরে পেয়েছিলো স্বস্থি।আবার এই স্বস্থির অবসান হলো বেড়া পৌর মেয়রের ফিরে আসায়।সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও তার পুত্র একক আধিপত্য বিস্তার করে গড়ে তুলেছে  লাঠিয়াল বাহিনী ও হাতুড়ি বাহিনী।

পায়না এলাকা থেকে আব্দুল মান্নান মানুর  ছোট ছেলে জানান,আমি ঢাকায় থাকতাম এতটুকু বুঝতাম যে আমাদের এমপি শামসুল হক টুকু  যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হল তখন পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক ছিল কিন্তু তার ছেলে রঞ্জন যখন পৌর মেয়র হয় তখন থেকে ধীরে ধীরে তার কথাবার্তার পরিবর্তন হতে লাগলো ছেলের মাধ্যমে।আসিফ শামস রঞ্জন মেয়র পদে তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত মোটামুটি ভালো ছিলো।আস্তে আস্তে টাকার নেশা শুরু হল অর্থাৎ এক কথা  বলতে গেলে সে টাকার নেশায় অন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে শুরু হলো সাধারণ মানুষের উপর এই বর্বরোচিত তান্ডব।নিজের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য পাতিনেতা দিয়ে লাঠিয়াল বাহিনী ও হাতুড়ি বাহিনী গঠন করে এলাকার মধ্যে।এসকল রাজনীতিকে আমার বাবা আব্দুল মান্না মানু যখন দেখলো রাজনীতির নামে অপরাজনীতি শুরু হয়ে গেছে,মানুষের উপরে নেমে আসলো এক বিভীষিকাময় অত্যাচার।তখন আমার বাবা এই সকল মানুষের প্রতি অত্যাচার দেখে প্রতিবাদ করায় বাসায় পুলিশ পাঠানো ধরে নিয়ে মামলা দেওয়া থেকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি মূলক কাজকর্ম।এলাকার মধ্যে যারাই প্রতিবাদ করতো তাদের উপরে পুলিশ দিয়ে মামলা হামলার স্বীকার হতো সাবেক ডেপুটি স্পিকার পুত্র রঞ্জনের মাধ্যমে।সার্বিক বিষয়ে আমরা এ সকল রাজনীতি থেকে অনেক দূরেই চলে আসি এ জন্য এখন পর্যন্ত মানুষ আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর বা হামলা করে নাই,আমাদেরকে ভালোবেসে কাছেই রেখেছে। রাজনীতির নামে অপরাজনীতি মানুষকে সেবা দেবার নামে মানুষের প্রতি অত্যাচার অবৈধ ভাবে জমি দখল,অবৈধভাবে বালি উত্তোলনসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে আছে ডেপুটি স্পিকার পুত্র।আব্দুল বারেক জানান,আমার চল্লিশ লক্ষ টাকা দামের নৌকা ছিনিয়ে নিয়েছে এবং আমার বাড়ীর পিছনে জায়গাটাও ক্ষমতার দাপটে কেড়ে নিয়েছে জায়গা।এই জায়গাতে এখন বালু মহলের কাজ চলছে অবাধে আমরা গরীব মানুষ হওয়ার কারণে প্রতিবাদ করলেই তার লাঠিয়াল ও হাতুড়ি বাহিনী পাঠিয়ে দিতো না হয় বাপের ক্ষমতা বলে পুলিশ দিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখাতো।নিরুপায় হয়ে আমি এখন সর্বশান্ত হয়ে চা বিক্রি করে চলছি এই অভাবের সময়ে সংসারেও পরছে অনাটন কিন্তু আমাদের মত গরীবদের দেখার কেউই নেই,ক্ষমতা লোভী বাপ খেয়েছে ধরা আর ছেলে আছে পালিয়ে তবে এদের ধরে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানাই।

বেড়া পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, বাপ বেটার তান্ডবের এক বিভীষিকাময় কান্ড লোমহর্ষক প্রতিটি কথা শুনলেই শরীরের লোম শিউরে ওঠার মত।বেড়ায় সংখ্যা লঘুদের টাকা না দিয়ে পৌর সভার কাজ করানো,বেড়া পৌর অঞ্চলের মধ্যে ঘরবাড়ী থেকে অতিরিক্ত কর আদায় করা,বিল্ডিং হলে তো চল্লিশ হাজারে গিয়ে দাড়াতো,বেড়া সিএনবির ফুটপাতে দোকানীদের কাছ থেকে প্রতিদিন বিশ থেকে ত্রিশ টাকা চাঁদা নেওয়া,সিএনবিতে মোটর ষ্ট্যান্ড, সিএনজি ষ্ট্যান্ড থেকে চাঁদা নেওয়াসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিনা কারণে জোর জবরদস্তি করে টাকা নেওয়াই ছিলো পৌর মেয়রের মূল কাজ।নামে বেনামে জমি দখল করা,পৌরকর নেওয়া নামের ঠিক অতিরিক্ত টাকা আদায় করা, বাথরুমের কর নেওয়া,বিবাহ বন্ধনের জন্য লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে টাকা আদায় করা, গর্ভবতী মায়ের সন্তান প্রসবকালে রঞ্জনবাহিনীকে কর দিয়ে পৃথিবীর মুখ দেখতে হয়েছে শিশু বাচ্চাদের। তার অত্যাচারে বৃশালিখা,পায়না থেকে শুরু  করে প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ অত্যাচারিত ও নির্যাতিত।একটা সময়ে নৃগোষ্ঠীর মানুষ ঝাঁটা বাড়ুন নিয়ে মিছিল বের করেছিলো।কতটা অত্যাচারিত হলে এমন মিছিলের দ্বারস্থ হতে হয়!

সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রতিবেশী জানান, আমাদের ডেপুটি স্পিকার ভালো মানুষ ছিল।তিনি মানুষের সাথে চলাফেরা করতেন অতি সাধারন ভাবে।শেখ হাসিনা সরকারের ধনের খবর শোনা মাত্রই এলাকায় লোকজন ঢুকতে শুরু করে।তার ঘর বাড়ি ভাঙচুর বাড়িতে যা ছিল  সকল কিছু নিয়ে যায়,এমনকি তার দেওয়ালের ইট খুলে খুলে নিয়ে যায়।কিন্তু একটা দুঃখের বিষয় যে জামাত-বিএনপি তো হামলা করে নাই।আমাদের এর নেতারাই এ হামলা করে। বাড়িতে ঈট পর্যন্ত রাখে নাই খুলে নিয়ে গেছে।তিনি আরো বলেন আমার গরু ও নিয়ে গেছে দুইটা।

সাবেক ডেপুটি স্পিকারের বাড়িতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেড়ার বাসভবনের কিছু ফাঁকা জায়গাতে ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেটে খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে মতো থাকা অবস্থায় এই বাড়িতে প্রবেশ করা সম্ভব হয় নাই কিন্তু এখন প্রবেশ কালে বাধা দেওয়ার কেউই নাই।এই বাড়িটি এখন থমথমে অবস্থায় পড়ে আছে গ্লাস ভাঙ্গা অবস্থায় স্পিকারের বাসভবন থেকে বের হচ্ছে আগুনে পোড়া এক বিভীষিকা দুর্গন্ধ।

বেড়া উপজেলাবাসীর প্রশ্ন এখন নানা মনে উঠেছে,কতটা নির্যাতন অত্যাচার হলে একটা পরিবারের বাস ভবনের ইট খুলে নেওয়া ও আগুনের শিখায় পরিনত হয়?

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মাথায় পরে স্বৈরাচার শাসক শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা আবসান হয়।স্বৈরাচার সরকারের পতন হওয়ার কথা শুনেই সাবেক ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতারও অবসান হয়ে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বর্তমান সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর স্থান মিলেছে জেল হাজতে।ক্ষমতা লোভী বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন এখনো পলাতক আছে।স্থানীয়রা মনে করছে,সাবেক ডেপুটি স্পিকার ধরা খেয়েছে। যদি সঠিকভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভাবে অবস্থান নেয় নিশ্চিত সাবেক ডেপুটি স্পিকার পুত্র রঞ্জনও আটক হবে সেই সাথে অবৈধ সম্পদ ও হাজার হাজার কোটি টাকার দূর্নীতিসহ সকল অপকর্মের নথিপত্র বেরিয়ে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat