×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২৬
  • ৫১ বার পঠিত
দুমকী, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকীতে সরকারি জনতা কলেজে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তাঁর সামনেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নূর আলম সিকদার(২১) ও আরাফাত মোল্লা(১৬) সহ ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। 

বুধবার(২৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

সূত্র জানায়, সদ্যঘোষিত কমিটির সভাপতি সানাউল্লাহ হিরা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন সিকদার বেলা ১২টার দিকে  ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ হাওলাদারের রুমে দেখা করতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সুধা ও তার অনুসারী কয়েকজন কর্মী সমার্থক অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ঢোকেন। এসময় দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষে নূর আলম সিকদার(২১), আরাফাত মোল্লা(১৬),  রিফাত মৃধা(২১), মো: ইমরান হোসেন(২২) ও মো: মুসা(২১) নামের ৫জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। 

সরকারি জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সানাউল্লাহ হিরা বলেন, অধ্যক্ষ স্যারের সামনেই হঠাৎ করে পেছন থেকে সুধা'র নেতৃত্বে খায়ের, মিজান, সাঈদ, নূর আলম, রাফিন, সুমনসহ আরও কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমার সেক্রেটারি সামান্য আহত হলেও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

এদিকে আহত নূর আলম সিকদার দাবি করেন, সেইদিন সুধা ও আবু সাঈদের মিছিলে যাওয়ার জেরে আজ সকালে হিরা ও মঈনের লোকজন আমাকে প্রথমে মারধর করে। পরে অধ্যক্ষের রুমে সুধাসহ ৫/৬ জন বিচার দিতে যাই। কিন্তু সেখানে আগে থেকে উপস্থিত থাকা হিরা, মঈনসহ কয়েকজন বহিরাগত শিক্ষার্থী নিয়ে অধ্যক্ষ স্যারের সামনেই আমাকে স্টীল পাইপ দিয়ে আঘাত করে। 

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে আবু সুফিয়ান সুধা বলেন, আসলে কেউ হামলা বা মারামারি করতে অধ্যক্ষের রুমে যায় না। মূলত নূর আলমকে সকালে যারা মারধর করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ স্যারের কাছে বিচার দিতে গেছিলাম। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ হাওলাদার বলেন, নূতন কমিটি পাওয়ায় ওরা( সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) আমার সাথে দেখা করতে আসে। হঠাৎ সুধাসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র  আমার রুমে ঢুকে ওদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার রুমের আসবাবপত্রেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু'র নিজ হাতে গড়া সংগঠনে কোন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রের জায়গা নেই। অচিরেই তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। 

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে ক্যাম্পাসে গিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat