শ্রীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে শরিফা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ।
তবে ওই গৃহবঁধূর পরিবারের দাবি,পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন পুলিশ।
সোমবার দুপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি বাজারের মুরগি বাজার এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শরিফা আক্তার উপজেলার ওই ইউনিয়নের টেংরা এলাকার সুতিপারার সফিকুল ইসলামের মেয়ে। আটক স্বামী ইয়াসিন আরাফাত শুভ(২৬) উপজেলার তালতলি বাজারের মুরগি বাজার এলাকার শাহজাহান এর ছেলে ও তার মা ইয়াসমিন আক্তার (৪৫)।
নিহতের পিতা সফিকুল ইসলাম বলেন ,করোনা শুরু হওয়ার প্রথম দিকে ইয়াসিন আরাফাত শুভ সাথে শরিফা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পরে তাদের সংসারে ইসরাত জাহান নামে (২) বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে । বিয়ের পর থেকেই স্বামী শুভ পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং বিয়ে করে। এ সব জানতে পেরে শরিফা বিয়ের পর থেকেই প্রতিবাদ করে আসছিলো। যার কারণে প্রতিনিয়ত নেশা ও জুয়ায় আসক্ত হয়ে তাকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে করে আসছিলো।এর ফলে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান একাধিকবার বিচার শালিস করে কোনো ফল না পেয়ে আদালতে মামলা করি।সেই মামলার জেলে গেলে শুধরানোর কথা বলে তিন মাসের জামিনে বের হয়ে আসে। এই সব জেরে বরিবার রাত এগারোটার দিকে শরিফা আক্তারকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মাহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়।
তবে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে শুভ মা ইয়াসমিন আক্তার বলেন,শরিফা ঘরের ধর্ণার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে গৃহবঁধূর মরদেহ উদ্ধার করে সুরাতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..