মোঃ শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর প্রতিনিধি:
স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী। অতপর ঘরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। পরে তার কর্মস্থল সাদটেক্সসটাইল কারখানার সহকর্মী আরিফকে ফোনে জানান,"তালা বদ্ধ ঘরে স্ত্রীর লাশ রয়েছে। দেয়ালে ফোন নম্বর আছে। খবর দিয়ে যেনো লাশ দিয়ে দেয়া হয়।"
পরে দুপুরে বিষয় টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ঘরের তালা ভেঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনা ঘটে বুধবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তর পারা গ্রামের মো.আ. ছমাতের ভাড়া বাড়ির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে। নিহত মীম আক্তার (২০)সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার ছোটবেড়াখারুয়া গ্রামের মো.ইউসুফ খানের মেয়ে।
নিহতের স্বামী মো.আল আমীন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার কালাই গ্রামের মো.আমিরুল খানের ছেলে। তিনি ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে সাদটেক্সটাইলে চাকুরী করতেন।
স্থানীয়রা জানান, আল আমীন তার স্ত্রী মীমকে নিয়ে ওই বাড়ির তৃতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয় স্বস্ত্রীক অনুমান তিন মাস ধরে ভাড়া থাকেন। মঙ্গলবার রাতে কোন সময় আল আমীন তার স্ত্রীকে গলায় রশী দিয়ে পেচিয়ে হত্যা করেন। পরে লাশের পাশে চিঠিলিখে রেখে যান। সকালে আল আমীন স্ত্রীর লাশ তালাবদ্ধ করে রেখে যান। পরে সহকর্মীকে জানালে হত্যার ঘটনা প্রকাশ পায়।
নিহতের ছোট ভাই নাঈমখান জানান, নয়মাস পূর্বে আল আমিনের সাথে মীমের বিয়ে হয়। মীমকে নিয়ে আল আমীন ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তাদের মধ্যকার কলহের কারণে আল আমিন তাকে হত্যাকরে পালিয়ে গেছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মো.মোহেল রানা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেক ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার কাজ চলছে। বিকেল সাড়ে চারটায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদধার কাজ চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..