সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টার:
কাল রাত পোহালেই কাঞ্চন পৌরসভার ভোট। ভোটকে ঘিরে কাঞ্চনে থমথমেভাব বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে কাঞ্চন বাজারের অনেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো বহিরাগতরা বহাল তবিয়তে আছে। ফলে বহিরাগত আতঙ্ক কাটেনি ভোটারদের।
প্রচার-প্রচারণা শেষ। তবে এখন চলছে জয়ে-পরাজয়ের হিসাব-নিকেষ। তবে এখনো সাধারণ ভোটারদের মাঝে বহিরাগত আতঙ্ক কাটেনি। গত কয়েকদিনের নির্বাচনের আগে মেয়র প্রার্থীর উপর হামলা, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, ক্যাম্প ভাংচুরসহ বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটায় ভোটারদের মাঝে এ আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা কাঞ্চন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় স্বশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান নিয়েছে বলে ভোটাররা জানান। নির্বাচনের দিন বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কায় ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে, পৌরসভার ১৯ কেন্দ্র ঝূকিপূর্ণ বলে দাবী করেছেন ভোটাররা। সরকারী হিসাবে ৪ টি কেন্দ্রকে ঝূকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজার ৭৯৮।
জানা গেছে, জগ প্রতীকে রফিকুল ইসলাম রফিক ও মোবাইল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই মেয়র প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকরা গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। ২৪ জুন রাত ১২ টার পর থেকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হলেও মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার পক্ষে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসহ অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হওয়ার পরও বাদশার পক্ষে বহিরাগতরা পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে গোপনে অবস্থান নিয়েছে। বহিরাগত এলাকা গুলোতে অস্ত্রের মহড়া ও ভোটারদের হুমকি ধামকি দিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে। বহিরাগত আতঙ্কে কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনের আগের দিন থেকেই দোকানপাটসহ সিংহভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গ-সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের দিন কাঞ্চন পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে ২০ জন করে পুলিশ সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা কোন প্রকার ঝামেলার সৃষ্টি করলে ছাড় দেয়া হবেনা।
এ জাতীয় আরো খবর..