সাইফুল্লাহ সাইফ কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জে নিজ গ্রামের বন্ধুদের নিয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন চিত্র নায়ক সাইমন সাদিক।
সাইমন সাদিক বলেন, সময় বহমান। সে বহমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় আমাদের চারপাশের চিত্রও। বদলে যায় সমাজ, সংস্কৃতি। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সময় হয়ে উঠেছে অনেকটাই যান্ত্রিক। আগের সেই প্রাণোচ্ছ্বল খেলোধুলার ঘটেছে অপমৃত্যু। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে আদিকালের গ্রামীণ খেলাধুলার ঐতিহ্য।
বিংশ শতাব্দীর শেষাংশেও গ্রামের শিশু-কিশোররা পড়াশোনার পাশাপাশি মেতে উঠতো বিভিন্ন ধরনের খেলায়। বিকেলে খোলা মাঠে যুবকরা দলবেঁধে খেলত হা ডু ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, কাবাডিসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা। এমনকি সেখানে স্থান পেত বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট, ফুটবলও। শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে থাকতো ছেলে-মেয়ের দল।
বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে অতীতের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে। কিন্তু খেলাধুলার প্রতি অনাসক্তি কিশোর-যুবকদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদকতার দিকে। ফলে ভবিষ্যত বাংলাদেশ হতে পারে মেধাশূন্য। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কলাপাড়া নিজ গ্রামের বন্ধুদের নিয়ে ঈদুল-আযহা উপলক্ষে শোলাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার শুরু আগে এসব কথা বলেন চিত্র নায়ক সাইমন সাদিক।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে ঈদের ২য় দিনে ‘কলিজার গ্রাম’ এর মূল কর্ণধার চিত্র নায়ক সাইমন সাদিকের উদ্যোগে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় প্রি প্যালেস্টাইন দল ৩-০ গোলে সুপার স্ট্রং দলকে পরাজিত করে জয়লাভ করে। এতে প্রি প্যালেস্টাইন দলের অধিনায়ক নায়ক সাইমন সাদিক ২ গোল, আবুল কাসেম নিপুন ১ গোলে সুপার স্ট্রং দলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে।
এসময় কলাপাড়া গ্রামের শোলাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে চিত্র নায়ক সাইমন সাদিক ও তার খেলা দেখতে আশেপাশের দূরদূরান্ত থেকে শত শত মানুষ ভিড় করেন।
কলিজার গ্রামের কর্ণধার চিত্র নায়ক সাইমন সাদিক আরো বলেন, কলিজার গ্রামের বন্ধুদের ঈদ ফুটবল খেলা সেটা আমার দারুণ মুহূর্ত। খুব ভালো লাগছে। তিনি আরো বলেন, খেলাধুলায় মানুষকে সামাজিক গড়ে তুলতে সহায়তা করে, আর ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। হয়তো ভালো খেলা আমরা দিতে পারি না, সে জন্য আগের মতো খেলা হয় না মানুষ মাঠে আসে না। বাংলাদেশের ঐতিহ্য ফুটবলকে বাঁচাতে হলে সবাইকে এভাবে নেমে পড়তে হবে। প্রতিটি জেলায় প্রতিটি গ্রামে যদি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ জন্মায়, আর রোজ যদি বিকেল বেলায় খেলা হয় তাহলে যুব সমাজ খেলার মাঠে থাকবে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন করা এসব কমে আসবে দেশে। এছাড়াও আমাদের দেশের ফুটবলের ঐতিহ্যকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..